Crime

অপহরণ নয়, শিশুকে খুন করেছিল তার মা-ই

শিশুটিকে তেল মাখিয়ে, খাটে ঘুম পাড়িয়ে ছাদে গিয়েছিলেন ওই আয়া। সেইসময় কলিং বেল বাজান এক যুবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৭
Share:

এই বিছানা থেকেই শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। —নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: দু’মাসের মেয়েকে মেরে ম্যানহোলে, গ্রেফতার মহিলা

Advertisement

এর আগে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বেলেঘাটায় দু’মাসের শিশুকন্যাটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের প্রকাশিত খবরটি অবিকৃত ভাবেই নীচে রাখা হল।

Advertisement

ভরদুপুরে বহুতল থেকে দু’মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে চম্পট দিল এক দুষ্কৃতী। রবিবার শহর কলকাতার বুকে এমনই দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটে গেল। এখনও পর্যন্ত ওই দুষ্কৃতীর নাগাল পায়নি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।

বেলেঘাটায় কলকাতা পুলিশের সাউথ-ইস্ট ডিভিশন অফিসের উল্টোদিকের একটি বহুতলেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বহুতলের তিন তলার ফ্ল্যাটে একটি জৈন ব্যবসায়ী পরিবারের বাস। দু’মাসের মেয়ে এবং তার আয়ার সঙ্গে এ দিন বাড়িতে একাই ছিলেন পরিবারের এক মহিলা সদস্য।

শিশুটিকে তেল মাখিয়ে, খাটে ঘুম পাড়িয়ে ছাদে গিয়েছিলেন ওই আয়া। সেইসময় কলিং বেল বাজান এক যুবক। আয়া ছাদের চাবি চাইছে বলে জানান তিনি। শিশুটির মা দরজা খুলতেই বিপত্তি বাধে। তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকে যান ওই যুবক। বিছানা থেকে ঘুমন্ত শিশুটিকে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে বেরিয়ে যান।

আরও পড়ুন: উস্তিতে ধৃত হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি প্রতাপ হাজরা কালবুর্গি-লঙ্কেশের ঘাতকদের অস্ত্র প্রশিক্ষক​

আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন ওই মহিলা। সম্বিৎ ফিরলে পুলিশে খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই ফ্ল্যাটে ছুটে যায়পুলিশের একটি দল। কিন্তু তত ক্ষণে বাচ্চাটিকে নিয়ে উধাও ওই দুষ্কৃতী। ঘটনার সময় ওই বহুতলের নিরাপত্তারক্ষী ওষুধের দোকানে গিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে শিশুটির আয়াকেও।

আয়া যে ছাদে গিয়েছে, তা ওই দুষ্কৃতী কীভাবে জানলেন? কেনই বা তার নাম নিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় আয়া এবং আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যবসায়ী পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: কুশলী কেন্দ্র! বাংলার ট্যাবলো বাদ, রবীন্দ্রসঙ্গীতে বাউল নৃত্য কুচকাওয়াজে​

এ দিন ঘটনার পর গুজরাতের একটি নম্বর থেকে পরিবারের কাছে একটি ফোন আসে। তাতে হিন্দিতে কেউ কথা বলছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement