সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র
সদ্যোজাতের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। বারুইপুরের এক দম্পতির অভিযোগ, ওয়ার্মারের তাপমাত্রা হঠাৎই বেড়ে যায়। সন্তানের বাবা নিরঞ্জন সর্দার অভিযোগ করেছেন, ‘‘ছেলেকে ওঁর মা যখন সকালে খাওয়াতে যায়, তখন লক্ষ্য করে, ছেলের দেহের তাপমাত্রা সামান্য বেশি। আবার তিনঘণ্টা পর যখন যায়, তখন দেখতে পাওয়া যায়, ছেলের সারা গা লাল হয়ে গিয়েছে। পরে কালো হয়ে যায়। নার্সদের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’
পরিবারের অভিযোগ,ওয়ার্মারের তাপে সদ্যোজাতের শরীর লাল হয়ে গিয়েছিল। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের কাছেও তাঁরা মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল। সেটি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই সদ্যোজাত সুস্থ আছে।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৩০ জুন বারুইপুর শিশুমঙ্গল নার্সিংহোমে জন্ম হয় শিশুটির। সময়ের আগেই জন্ম হওয়ায় শারীরিক ভাবে দুর্বল ছিল শিশুটি। সেই কারণেই তাঁকে স্থানান্তরিত করে আনা হয় কলকাতায়। ভর্তি করা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের ‘অসুস্থ নবজাতক পরিষেবা কেন্দ্র’ বা এসএনসিইউ বিভাগে। সেখানেই ওয়ার্মারে ছিল সদ্যোজাত। এই ঘটনায় হাসপাতালের সুপার শ্যামপদ পতি জানিয়েছেন, ‘‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল। দ্রুত তা সারিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশু এখন ভাল আছে।’’