একের পর এক টুইটে তথাগতকে ‘জবাব’ বাবুলের। গ্রাফিক—সনৎ সিংহ।
তৃণমূলের ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা হয়নি বাবুল সুপ্রিয়র। আর তা নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক টুইটে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। পাল্টা বিঁধতে ছাড়লেন না বাবুলও। কটাক্ষ করলেন এই বলে, বোধহয় ওঁর বিচার বিবেচনা লোপ পেয়েছে তথাগতর।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি-তে বাবুলের জায়গা না হওয়া নিয়ে একটি টুইট করেন তথাগত। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির একটি টুইট রিটুইট করে লেখেন,‘আমার একটু দুঃখই হচ্ছে। ছেলেটাকে আমি ভালবাসতাম। ওর বাড়িতে গিয়েছি। খেয়েছি। ওর বাবার সঙ্গে গল্প করেছি। একটা জিনিস প্রমাণ হয়, রাজনীতিতে ধৈর্য হারালে পতন হবেই। বোকাটা যদি আমাকে একবার জিজ্ঞাসা করত!’
এর পর শুরু হয়ে যায় টুইট-টক্কর। একের পর এক ভিডিয়ো বার্তায় তথাগতের কটাক্ষের জবাব দিতে শুরু করেন বাবুল। কোথাও তিনি বলেন, ‘‘দলবদলের পর আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন। তার পরও আপনাকে আমি ফোন করি। দলবদল করলে সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত যে ঠিক তা প্রমাণ করে দেখাব।’’ কোথাও বাবুল প্রশ্ন তোলেন তথাগতর শব্দচয়ন ও ভাষা নিয়ে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যপালের মতো সম্মানজনক পদ সামলানোর পর, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে এত হ্যাংলামি করবেন।’’ আবার বলেন, তাঁর মতো সম্মানীয় ব্যক্তিকে বিজেপি একঘরে করে দিয়েছে, তাতেও দুঃখ পেয়েছেন তিনি। বাবুল এও বলেন, তথাগতের কাছে প্রমাণ করার মতো কিছু নেই তাঁর। বলেন, ‘‘প্রথম একাদশে খেলতে গেলে রনজি ট্রফি খেলতে হয়। আন্ডার নাইন্টিন থেকে লোকে খেলতে আরম্ভ করে। বিজেপি-তে আমি অনেক দিন ছিলাম। আমি দল ছেড়েছি মন্ত্রিত্ব থেকে হঠিয়ে দেওয়ার জন্য। ল্যাম্পপোস্ট হয়ে দিল্লিতে থাকব না। থাকলে নিজের শহর মুম্বই বা জন্মস্থান কলকাতায় থাকব।’’
এদিকে বাবুলের একের পর এক টুইটের পর আবার এক টুইট করেন তথাগত। সেখানে লেখেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় আমাকে যা তা গালাগালি দিচ্ছে! বলুন তো আমার কী দোষ?’’ তার পর জুড়ে দেন মজা করার ইমোজি।
পরে আর এক টুইটে তথাগত লেখেন, ‘বাবুলের চেহারার মধ্যেই অসম্ভব মানসিক ক্লেশ ফুটে বেরোচ্ছে।’ এই টুইট রিটুইট করে বাক্যুদ্ধে তাঁর তরফে ইতি টানেন বাবুল। তবে সেখানেও রয়েছে কটাক্ষের সুর। বাবুল জানান, তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা পাওয়ার কথা তিনি নিজেই চিন্তা করেননি। অথচ, তথাগত তা ভেবে বসে আছেন। তিনি লেখেন, ‘এ বার আপনার উস্কানি উপেক্ষা করে চলব। আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই। কিন্তু বলতেই হবে আপনি বিচার বুদ্ধি হারিয়েছেন। না হলে আপনি কী ভাবে মনে করেন যে আমি তৃণমূলের জাতীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারি?’
এর পর হাসির ইমোজি দিয়ে বাবুল যোগ করেন, ‘এই ভাবনা তো আমিও ভাবিনি।’