Road blockade

Auto Driver Blockade: রাস্তা সারানোর দাবিতে অবরোধ অটোচালকদের

বিক্ষোভকারীরা জানান, রানিয়া কালভার্ট থেকে বাঁশদ্রোণী পার্ক পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার অনেকটাই খারাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২২
Share:

দুরবস্থা: হীরেন সরকার রোডের এমন হাল নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অটোচালকেরা। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

রাস্তা খারাপ। তাই ঘুরপথে যাত্রীদের নিয়ে যেতে খরচ বেশি হয়। অথচ বাড়ানো যায় না ভাড়া। প্রায় তিন বছর ধরে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকায় সোমবার বাঁশদ্রোণীতে রাস্তা অবরোধ করলেন অটোচালকেরা। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন শাসকদল তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

বাঁশদ্রোণীর হীরেন সরকার রোডের একটি বড় অংশ নিকাশি লাইনের কাজের জন্য দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা নিয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্ষোভ রয়েছে এলাকার অটো এবং টোটোচালকদেরও। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অবরোধ চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং শাসকদলের অন্য নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন, দ্রুত রাস্তা মেরামত করা হবে। তার পরে অবরোধ উঠে যায়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, রানিয়া কালভার্ট থেকে বাঁশদ্রোণী পার্ক পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার অনেকটাই খারাপ। তার মধ্যে পিরপুকুর এলাকায় রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। অটোচালকেরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁদের বিবেকানন্দ পার্ক ও সোনালি পার্কের মতো এলাকা দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। জ্বালানি বেশি পুড়লেও যাত্রীদের থেকে তাঁরা বাড়তি ভাড়া চাইতে পারছেন না। পুরসভা কিংবা প্রশাসনও সে দিকে নজর দিচ্ছে না বলে অটোচালকদের অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১১২ এবং ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে। আবার টালিগঞ্জ এবং রাজপুর-সোনারপুর, দু’টি বিধানসভা এলাকার মধ্যেই ভাগাভাগি করে রয়েছে ওই অংশটি। পিরপুকুর এলাকায় রাস্তার হাল ভয়াবহ বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে খানাখন্দে ভরা রাস্তায় জল জমে বেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ।

পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা তৈরির কাজ চলছে। ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোপাল রায় জানান, স্বাধীনতার পর থেকে ওই এলাকায় নিকাশির কোনও কাজ হয়নি। এই প্রথম কাজ হচ্ছে। তাই শেষ হতে একটু সময় লাগছে। যে সংস্থা কাজ করছে, তাদের সঙ্গে পুরসভা যোগাযোগ রাখছে। তিনি বলেন, ‘‘সোমবার থেকেই রাস্তা ভরাটের সামগ্রী ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি প্রকাশ্য সভাতেই রাস্তা সারাই দ্রুত হবে বলে আমি কথা দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও অটোচালকেরা ধৈর্য রাখতে না পেরে রাস্তা অবরোধ করলেন। এটা দুঃখের বিষয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement