— প্রতীকী ছবি।
স্কুলের আয়ার বিরুদ্ধে শিশুকে আঁচড়ে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন এক অভিভাবক। তাঁর অভিযোগ, শিশুটি স্কুলে মলত্যাগ ও বমি করে ফেলাতেই ওই আয়া তাকে আঁচড়ে দেন। শুধু তা-ই নয়, ওই আয়া শিশুটিকে ঠিকমতো পরিষ্কার করে দেননি বলেও অভিযোগ। শিশুটির বাবা এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিভাবকদের একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপেও ঘটনাটির কথা জানিয়েছেন তিনি। এ কথা জানতে পেরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে ডেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেও অভিযোগ।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই পড়ুয়ার বাবার সমস্ত অভিযোগ মানতে চাননি। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, আয়ার গাফিলতি রয়েছে কি না, তা যাচাই না করেই শুধুমাত্র অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা ওই মহিলাকে তিন দিনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শিশুটির বাবাকে আগামী সোমবার স্কুলে ডাকা হয়েছে।
কী ঘটেছিল? কুষ্টিয়া রোডের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত মাসে তাঁর পাঁচ বছরের অটিস্টিক ছেলেকে বাইপাস সংলগ্ন মাদুরদহের একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন তিনি। ভোরের সেশনে কয়েক দিন যাওয়ার পরে শিশুটির অসুবিধা হচ্ছে দেখে তিনি ছেলেকে বেলার সেশনে নিয়ে আসেন। বুধবার স্কুল শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই ছেলের ক্লাস টিচার ফোন করে তাঁকে জানান, ছেলে মলত্যাগ ও বমি করে ফেলেছে।
মনিরুলের কথায়, ‘‘সেই সময়ে ফোনে ছেলের কান্নার আওয়াজ পাই। কিন্তু ওর একটু কাঁদার অভ্যেস রয়েছে বলে আমি কিছু বলিনি।’’ মনিরুলের অভিযোগ, ১১টা নাগাদ আয়া যখন ছেলেকে বাইরে নিয়ে আসেন, তখন তিনি দেখেন, বাচ্চার হাতে নখের আঁচড়ের দাগ। এর পরেই তিনি প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে জানানো হয়, তিনি নেই। ফলে ক্লাস টিচারদের সঙ্গেই কথা বলেন তিনি। তাঁরা আয়ার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
মনিরুলের অভিযোগ, এর পরেই অভিভাবকদের একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে বিষয়টি জানালে প্রধান শিক্ষিকা তা নিয়ে তাঁকে হুমকি দেন। যদিও প্রধান শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আগামী সোমবার আমি ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তার আগেই তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন সরব হলেন, সেটাই জানতে চেয়েছি।’’ মনিরুল পরে থানাতেও এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।