প্রতীকী ছবি।
সর্দি-জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বাড়ির পরিচারিকাকে ফ্ল্যাট থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বালিগঞ্জের একটি অভিজাত আবাসনের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। লকডাউনের সময় ওই পরিচারিকা তাঁদের আশ্রয়েই ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর সর্দি-জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয় বলে ওই পরিবারের মনে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকা ওই পরিচারিকাকে ফ্ল্যাট ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিজাত ওই আবাসনের পাশেই রয়েছে একটি বস্তি। ফুটপাতে তাঁকে বসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন বস্তিবাসীরাই। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, জ্বর বা সর্দি-কাশি হতেই পারে। কিন্তু ডাক্তার বা পুলিশকে না জানিয়ে, ওই পরিচারিকাকে তাড়িয়ে দেওয়া একেবারেই ঠিক হয়নি। এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরসভার কর্মীরা। ওই পরিচারিকার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁরা জানার চেষ্টা করেন।
প্রাথমিক ভাবে পুরকর্মীরা জানতে পেরেছেন, ওই পরিচারিকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা। ওই আবাসনে বহু দিন ধরেই তিনি কাজ করছেন। লকডাউনের সময় তাঁকে তাদের কাছে থেকে যেতে বলে ওই পরিবার। তিনি থেকেও যান। ওই পরিচারিকার অভিযোগ, গতকাল থেকে পরিবারের সদস্যদের মনে হয়, তাঁর জ্বর হয়েছে। এর পর এ দিন সকালেই তাঁকে আবাসন থেকে বার করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নিজামউদ্দিন থেকে ফিরেই পর পর ধর্মসভা, সংস্পর্শে কত জন? হিসেব নেই এখনও
অসহায় অবস্থায় ওই পরিচারিকা ফুটপাথের ধারেই বসে আছেন। বস্তির বাসিন্দারা তাঁকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে বলেছেন। তাঁকে খাবারও দেওয়া হয়। বস্তিবাসীদের অভিযোগ, যদি সত্যিই ওই মহিলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন, তা হলে কেন এমন দায়িত্বজ্ঞাহীন কাজ করল ওই পরিবার? ওই মহিলার স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিযয় খতিয়ে দেখছেন পুরকর্মীরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সব মৃত্যু করোনায় নয়: মুখ্যমন্ত্রী