ATM Fraud

শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে লুঠ প্রায় ২ কোটি, টাকা যায়নি গ্রাহকের, জানাল লালবাজার

সফটওয়্যার ও এটিএম কার্ডের সাহায্যে পরপর এটিএম লুঠ শহরে। ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে ২কোটি টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২১ ২০:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সফটওয়্যার ও এটিএম কার্ডের সাহায্যে পরপর এটিএম লুঠ শহরে। ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে ২ কোটি টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। একেকটা এটিএম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত শহরের মোট ৭ এটিএম থেকে টাকা লুঠের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে গ্রাহকের কোনও টাকা লুঠ হয়নি বলে জানাল পুলিশ। একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমকেই টার্গেট করেছে প্রতারকরা। যে সব এটিএম লুঠ করা হয়েছে সেগুলোর মেশিন পুরনো হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ৬ মাস আগেই আরবিআই, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

কার টাকা, কী ভাবে লুঠ হল?

পুলিসের মতে পুরনো হয়ে যাওয়া এটিএম-কেই টার্গেট করেছে দুষ্কৃতীরা। হানা দেওয়া হয়েছেএটিএমের সফটওয়্যারে। এটিএমে আসল কার্ড ঢুকিয়ে বদলে দেওয়া হত এটিএমের কম্যান্ড। এটিএম লুঠে ব্যবহৃত ওই কার্ডের অ্যাকাউন্টে কম টাকা থাকলেও সফটওয়্যার এবং ‘কম্যান্ড’ বদলে অনেক বেশি টাকা তুলেছে দুষ্কৃতীরা অর্থাৎ জালিয়াতিতে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টে যত টাকাই থাকুক এটিএম-এ বেশি টাকা থাকলেই হল। এক একটা এটিএমে ৫০ থেকে ৯০ বার পর্যন্ত কার্ড সোয়াইপ করে টাকা তোলা হয়েছে। তবে এতে ব্যাঙ্ক বা গ্রাহকের কোনও টাকা লুঠ হয়নি। ব্যাঙ্কের এটিএম দেখভাল এবং টাকা জোগানের দায়িত্বে থাকা সংস্থার টাকাই লুঠ হয়েছে নিউমার্কেট, কাশীপুর, যাদবপুর, বেনিয়াপুকুর, বেহালা, ফুলবাগান এবং বৌবাজার এলাকায় এটিএম-এ। লুঠ হওয়া এটিএমগুলিতে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না।

Advertisement

এটিএম এবং আশপাশ থেকে বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফুটেজ খতিয়ে দেখেই পুলিশের ধারণা, সব ঘটনার পিছনে একই গ্যাং-এর হাত রয়েছে। এর আগে ফরিদাবাদে একই কায়দায় সফটওয়্যার ব্যবহার করে টাকা লুঠ করেছিল জালিয়াতরা। পরে তাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও পুরো দল এখনও অধরা। সেই দলেরই বাকিরা কলকাতায় এই এটিএম লুঠের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement