আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকা নয়া শুল্কনীতি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতেই ‘পাল্টা’ শুল্ক চাপানোর ভাবনাচিন্তা আপাতত থেকে পিছু হটল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্কিন শুল্কনীতির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ হবে, তা নিয়ে কিছুটা দোলাচলেই ছিল ইউরোপের দেশগুলি। পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা ভেবেও পিছু হটে তারা। পরে আবার পাল্টা শুল্ক চাপাতে প্রস্তাব গৃহীত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প শুল্কনীতি আপাতত স্থগিত রাখায় ইউরোপীয় ইউনিয়নও পাল্টা শুল্কের ভাবনা ৯০ দিনের জন্য হিমঘরে পাঠাল। পারস্পরিক শুল্কের বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তারা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন জানিয়েছেন, আলোচনার পথ যদি খোলা থাকে, সেটিকেই আগে কাজে লাগাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই কারণে ইউরোপীয় (সদস্য রাষ্ট্রগুলির) বাজারে মার্কিন পণ্যের উপর প্রস্তাবিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে একই সঙ্গে উরসুলা জানিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা সন্তোষজনক না-হলে ফের এই পাল্টা শুল্কের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
আমেরিকার বাজারে ইউরোপীয় পণ্যের উপর ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ট্রাম্প। বুধবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুসারে) ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চিন ছাড়া সব দেশের পণ্যের উপর শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে। যদিও আগের প্রাথমিক ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী পদক্ষেপ করে, সে দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি সয়াবিন, মোটরসাইকেল-সহ বেশ কিছু মার্কিন পণ্যে শুল্ক চাপানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল। সম্প্রতি ‘রয়টার্স’-এর হাতে এই সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র আসে। তার ভিত্তিতে রয়টার্স জানায়, মার্কিন পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় কমিশন। ওই তথ্য প্রকাশ্যে আসার কিছু ক্ষণ পরেই অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, তারা আলোচনা করতে চায়। এর পরে বুধবার বিকেলে আবার জানা যায়, পাল্টা শুল্কের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। তখনও উরসুলা জানিয়েছিলেন, আলোচনার জন্য কোনও দরজা খুললেই তারা এই সিদ্ধান্ত রদ করতে পারেন। হলও তা-ই। ট্রাম্প শুল্কনীতি স্থগিত রাখতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নও নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করল।