দোকানের যাবতীয় মিষ্টি ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ করলেন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী অমিত মোদক। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা রুখতে রাজ্যে বিধিনিষেধের জেরে টান পড়েছে মিষ্টির বিক্রিবাটায়। লোকসানের জেরে অভিনব প্রতিবাদ করলেন ময়নাগুড়ির এক মিষ্টি ব্যবসায়ী।
সোমবার টেকাটুলি বাজারে অমিত মোদক নামে ওই ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী তাঁর দোকানের যাবতীয় মিষ্টি ফেলে দিলেন। অমিত বলেন, “প্রায় ৩ হাজার টাকার মিষ্টি ফেলে দিলাম। প্রতিদিনই মিষ্টি ফেলে দিতে হয়। নিজের পকেট থেকে দোকানের ২ জন কর্মচারীর খরচ দিতে হয়। মিষ্টির বিক্রিও একদম নেই। লোকসানের জন্য আজ (সোমবার) থেকে দোকান বন্ধ রাখব।”
জলপাইগুড়ির মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দাবি, ধূপগুড়িতেও লোকসানের মুখ দেখছেন তাঁরা। রাজ্যে বিধিনিধেষের জন্য সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। তবে হাটবাজার খোলা থাকছে সকাল ৭টা থেকে ১০ পর্যন্ত। ফলে বাজারে বেরিয়ে যাঁরা মিষ্টির দোকানে আসছেন, সে সব ক্রেতাদের মিষ্টির দোকানে দেখা যাচ্ছে না। দোকান খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। অন্য দিকে, এক একটি মিষ্টির দোকানের কর্মীদের বেতন-সহ খরচ জোগাতেও হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিকেরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, কাঁচামাল হিসাবে প্রতিদিন কয়েক লিটার দুধ কিনে মিষ্টি তৈরি করতে হয়। কিন্তু, মিষ্টি বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। রাজকিশোর সিংহ নামে এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, “দোকান খোলা রেখেও লাভ নেই। মিষ্টি ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে লোকজন শহরে আসছেন না। এমনকি, নির্দিষ্ট সময়ের পরে টোটো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে গ্রামের লোক শহরে আসতে পারছেন না। মাত্র ১০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে।”
লোকসান এড়াতে ধূপগুড়ি মিষ্টি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গৌতম ঘোষ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের তরফে সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, “এক দিন অন্তর তৈরি মিষ্টি ফেলে দিতে হচ্ছে। সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের সরকারি ভাবে সাহায্য করা হোক।”