প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এক ভুয়ো চিকিৎসক এবং এক নার্সিংহোমের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দেগঙ্গার কলসুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই নার্সিংহোম মালিক এবং ভুয়ো চিকিৎসকের নাম যথাক্রমে আনসার আলি মণ্ডল এবং শ্যামল মজুমদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাদুড়িয়ার বাগজোলার বাসিন্দা, ষাটোর্ধ্ব আকবর আলি কিছু দিন ধরে পায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২ অক্টোবর তিনি দেগঙ্গার কলসুরের কামদেবকাটি এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। অভিযোগ, তাঁর অস্ত্রোপচার করার জন্য তাঁর পরিবারের থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত চিকিৎসক শ্যামল।রোগীর পরিবার সূত্রের জানা গিয়েছে, আকবরের অস্ত্রোপচারের দিন দুয়েক পরে নার্সিংহোম থেকে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হলেও তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও নথি এবং ‘ডিসচার্জ সার্টিফিকেট’ দিতে
চাননি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তখনই সন্দেহ হয় রোগীর পরিবারের। রবিবার আকবরের মেয়ে সবুরজান খাতুন বলেন, ‘‘নার্সিংহোম থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে বাবার অবস্থার অবনতি হয়। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, ক্ষতস্থানে ক্যানসার ধরা পড়েছে। আরও জানান, অস্ত্রোপচারের নথি ছাড়া ক্যানসারের সেই চিকিৎসা করা যাবে না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এর পরেই শনিবার আকবরের পরিবার তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি চাইতে গেলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তা দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এর পরেই দু’পক্ষের বচসা বাধে। নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারাও। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নার্সিংহোমের মালিক ও ওই চিকিৎসককে আটক করে। রাতেই ওই দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে আকবরের পরিবার।
বারাসত জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা যায়, ওই নার্সিংহোম এবং ওই চিকিৎসকের নথিপত্র ঠিক নেই। জেরায় দুই অভিযুক্তই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। এ দিন বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তদের কারও বৈধ কাগজপত্র নেই। তাদের জেরা করে এর সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।