ধৃত মাদক পাচারকারী জয়দেব দাস। —নিজস্ব চিত্র
প্রতি মাসে তার আয় ছিল প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা।
দামি গাড়ি, বিদেশি কুকুর ছাড়াও নিজের নিরাপত্তার জন্য প্রতি মাসে তার খরচ ছিল ৫৬ হাজার টাকা। তার ‘হোমরাচোমরা’ হাবভাব দেখে প্রতিবেশীরা ভাবতেন ওই যুবক বুঝি বড়সড় মাপের কেউ। তবে কেউই জানতেন না ট্যাংরার বাসিন্দা জয়দেব দাস ঠিক কী কাজ করেন।
গত বুধবার কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পরে জানা যায়, জয়দেব আসলে মাদকের কারবারি। লোকসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে আয়-ব্যয়ের হিসেবে সে জানিয়েছিল ২০১৭ ও ২০১৮ সালে কর্মচারীদের বেতন বাবদ মোট ২ লক্ষ ৮০ টাকা খরচ করেছে। কিন্তু প্রতি মাসে দুই নিরাপত্তা রক্ষীকেই শুধু সে ৫৬ হাজার টাকা বেতন দিত। সে বিজেপিতেও যোগ দিয়েছিল।
পুলিশ জানায়, প্রতি মাসে মোট ১৬০০ কেজি গাঁজা আসত জয়দেবের কাছে। তা নিজের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং বাবা-মার বস্তির ঘরে লুকিয়ে রাখত সে। সেই গাঁজার উপরে নজরদারি চলত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, কেজি প্রতি ৫ হাজার টাকায় গাঁজা বিক্রি করত জয়দেব। মাদক পাচারকারীদের কাছে ট্যাংরা এলাকার ‘ডন’ বলে পরিচিত ছিল সে। মূলত শিয়ালদহ, গড়িয়া এলাকায় গাঁজা সরবরাহ করত। গাঁজা কোথা থেকে পেত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, জয়দেবের পরিবারের লোকজনও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
পুলিশের একাংশের দাবি, পাঁচ-ছয় বছর ধরে মাদক কারবার চালালেও এক তৃণমূল নেতার ছত্রছায়ায় থাকায় জয়দেবের টিকি ছোঁয়া যায়নি।