নজরদারি: অনুষ্ঠানের আগে পুলিশ কুকুর নিয়ে চলছে তল্লাশি। শুক্রবার, রেড রোডে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
করোনা আবহেই আজ, শনিবার রেড রোডে হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের উদ্্যাপন। বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবেই জমায়েত যতটা সম্ভব এড়াতে রেড রোডের অনুষ্ঠানে সাধারণ দর্শককে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে রেড রোড জুড়ে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা যাতে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখেন, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অফিসারদের ব্যক্তিগত রক্ষী এবং গাড়িচালকেরা যাতে এ বার রেড রোডের অনুষ্ঠানে ভিড় না জমান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ট্র্যাফিক আধিকারিকদের লালবাজার সেই নির্দেশ দিয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, আজ সকাল দশটার কিছু আগে রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সকাল সওয়া দশটা পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান চলার কথা। অনুষ্ঠানে ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, পুরকর্মী-সহ মোট ২৫ জন করোনা যোদ্ধাকে বিশেষ স্মারক দেওয়া হবে। নিরাপত্তার জন্য রেড রোডকে সাতটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। ওই সাতটি জ়োন আবার ৩৪টি সেক্টরে ভাগ হয়েছে। এক জন এসিকে একটি করে সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ওই ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিটি জ়োনের দায়িত্বে থাকছেন এক জন ডিসি। রেড রোডের আশপাশের জায়গা মিলিয়ে পাঁচটি জায়গায় বালির বস্তা দিয়ে বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট বাহিনীর সদস্যেরা। এ ছাড়া থাকছে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার। ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড। তবে রেড রোডের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে আশপাশের ন’টি জায়গায় পুলিশের পিসিআর ভ্যান থাকবে। আটটি মোটরসাইকেল বাহিনী দিয়ে ঘিরে রাখা হচ্ছে রেড রোডে ঢোকার সব রাস্তা। গোয়েন্দা প্রধানের নেতৃত্বে থাকছে বিশেষ দল। সিসি ক্যামেরার নজরদারি তো থাকছেই।
আরও পড়ুন: পানিহাটিতে দোকান ও বাজারের সময় ভাগ