Durga Puja 2022

খোলা মণ্ডপ থেকে প্রতিমার অস্ত্র-গয়না চুরি, গ্রেফতার

নারকেলডাঙার শীতলাতলা লেনের ওই পুজো কমিটির নাম ‘যুবক বৃন্দ’। ৮৫তম বছরে রাস্তার উপরেই মণ্ডপ করে সাবেক প্রতিমা এনেছিল তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৪৯
Share:

অনেকেই বলছেন, প্রতিমার গায়ে সোনার গয়না থাকা সত্ত্বেও কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না? ফাইল ছবি

ভোরের ফাঁকা মণ্ডপ থেকে দুর্গা প্রতিমার অস্ত্র এবং সোনার টিকলি চুরির অভিযোগ উঠল নারকেলডাঙায়। শনিবারের এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে চোরকে। পিতলের অস্ত্র-সহ চুরি যাওয়া সব সামগ্রীই উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এই ঘটনায় পুজোর উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।অনেকেই বলছেন, প্রতিমার গায়ে সোনার গয়না থাকা সত্ত্বেও কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না?

Advertisement

নারকেলডাঙার শীতলাতলা লেনের ওই পুজো কমিটির নাম ‘যুবক বৃন্দ’। ৮৫তম বছরে রাস্তার উপরেই মণ্ডপ করে সাবেক প্রতিমা এনেছিল তারা। পুজো কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ পাত্র জানিয়েছেন, পঞ্চমীর রাতে প্রায় আড়াইটে পর্যন্ত তাঁরা প্রতিমা সাজানোর কাজ করে বাড়ি চলে যান। কাছেই একটি কাপড় ইস্ত্রির দোকান রয়েছে। সেই দোকানের মালিক ভোরে উঠে দোকানের পাশেই কিছু কাজ করছিলেন। তখনই মণ্ডপ থেকে দু’জন এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, প্রতিমার এই অবস্থা কেন? তিনি গিয়ে দেখেন, গণেশ বাদে বাকি প্রতিমার হাতে অস্ত্র নেই। দুর্গার টিকলি এবং হাতের চুড়িও উধাও। প্রতিমার হাত ভাঙা। এর পরেই ওই ব্যক্তি পুজোর উদ্যোক্তাদের খবর দেন।

অভিজিৎ বলেন, ‘‘গত কাল রাত ১২টা পর্যন্ত থানার পাঠানো লোক ছিলেন পুজো কমিটির সামনে। পরে তাঁরা চলে যান। নিরাপত্তার কোনও বন্দোবস্ত না-রাখাটাই আমাদের ভুল হয়েছে। এখন শিল্পী আনিয়ে ভাঙা হাত মেরামত করাচ্ছি।’’ এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের তরফে জানানো হয়, প্রতিমার চুরি যাওয়া অস্ত্র ও গয়নার সবই উদ্ধার করা গিয়েছে।

Advertisement

নারকেলডাঙা থানার এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘ঘটনাটি ঘটে ভোর সাড়ে চারটে থেকে ছ’টার ভিতরে। আশপাশে ঘুরে বেড়ানো এক কাগজকুড়ানি এ কাজ করেছে। সোর্স লাগিয়ে তাকে ধরা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করা হয়েছে গয়না-সহ সব কিছু।’’ দ্রুত সে সব পুজো কমিটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার জেরে এ দিন এলাকায় ছিল থমথমে পরিস্থিতি। সেখানকার বাসিন্দা, শিক্ষক নিখিল কর্মকার বললেন, ‘‘বাড়ি খালি রেখে ঠাকুর দেখতে যাই। এ রকম ঘটলে বাড়ি ছেড়ে বেরোব কী ভাবে?’’ একই প্রশ্ন অন্য বাসিন্দা সোনাই হাজরার। তিনি বললেন, ‘‘এমনিতেই ঘিঞ্জি এলাকা। ধরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি প্রবল। তা সত্ত্বেও মণ্ডপ থেকে অস্ত্র-গয়না চুরি হয়ে যাচ্ছে, এটা ভাবা যায় না!’’ কমিটির সদস্য সঞ্জয় পাত্র বললেন, ‘‘অস্ত্র ফিরে পেলেও এখনই পরানো যাবে না। প্রতিমার হাত ঠিক করা হচ্ছে। কাঁচা মাটি অস্ত্র ধরে রাখতে পারবে না! বাকি পুজো আমরা রাত জেগে পাহারা দেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement