ফাইল চিত্র
খাল বুজে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে প্রতি বারই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে সল্টলেক-সহ বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন অংশ। সেই জল নামতে সময়ও লাগছে। যে সমস্ত এলাকায় বেশি জল জমে, সেগুলি চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজতে শুরু করেছে বিধাননগর পুরসভা।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, কোন কোন এলাকায় সমস্যা বেশি, তা জানতে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। এলাকাগুলি চিহ্নিত করার পরে কী ভাবে সমস্যা মেটানো যায়, তা ঠিক করা হবে। গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনাও হয়।
সল্টলেকের কেষ্টপুর খাল লাগোয়া এলাকা, করুণাময়ী, ইস্টার্ন ড্রেনেজ় খাল লাগোয়া ইই ব্লক ও সংলগ্ন এলাকায় ইদানীং জল জমছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে, জল জমার দীর্ঘ দিনের সমস্যা রয়েছে চিনার পার্ক, স্পেস টাউন, হলদিরাম, বাগুইআটি ও কেষ্টপুরের মতো এলাকার কোনও কোনও অংশে।
বিধাননগর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার মাঝে রয়েছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট খাল। রাজারহাট-গোপালপুর ও সল্টলেকের মাঝে রয়েছে কেষ্টপুর খাল। আবার রাজারহাট-গোপালপুরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে বিবি ক্যানাল এবং নিম্ন বাগজোলা খালও। এই সব ক’টি খালেই পলি জমে জমে জলস্তর উপরে উঠে এসেছে। যার জেরে এলাকার জল নামতে না পেরে ‘ব্যাক ফ্লো’ করে ফিরে আসছে।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবরাজ চক্রবর্তী জানান, কোন কোন জায়গায় জল জমছে ও কেন জমছে, তা আগে বুঝে নিতে চাইছেন তাঁরা। তার পরে নিকাশির পাইপলাইন কোথা দিয়ে, কী ভাবে, কোন দিকে নিয়ে যাওয়া হবে, তাতে খরচ কত হবে— এ সবের পরিকল্পনা করা হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, নিকাশির পাইপলাইন বসানোর খরচের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে। পুর আধিকারিকেরা জানান, বিমানবন্দরের নিকাশি জলের পুরোটাই বিধাননগর পুরসভার রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার মধ্যে দিয়ে যায়। একই পথ পার্শ্ববর্তী দমদম এলাকার নিকাশি জলেরও। এ ছাড়া পুর এলাকার নিজস্ব নিকাশি জল তো রয়েছেই। এই জলের একটি অংশের যাওয়ার কথা দমদম ক্যান্টনমেন্ট খালে, অন্য অংশটির যাওয়ার কথা বিবি ক্যানাল এবং ইকো পার্ক খাল হয়ে। সব ক’টি খালই শেষ পর্যন্ত নিম্ন বাগজোলা হয়ে কুলটি গাঙে গিয়ে মিশেছে। কিন্তু সব ক’টি খালেরই অবস্থা শোচনীয়। পুরসভা সূত্রের খবর, দমদম ক্যান্টনমেন্ট খালের খানিকটা নিকাশি জল উচ্চ বাগজোলার মাধ্যমে গঙ্গায় ফেলার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পরে জল জমার সমস্যার খানিকটা হলেও সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।