প্রতীকী ছবি।
রবিবারের পরে বুধবার। যাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল আরও এক অ্যাপ-বাইক চালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী তরুণীর দাবি, তাঁকে থাপ্পড় মেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ওই বাইকচালক। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশের এক আধিকারিক। তিনি ওই তরুণীকে উদ্ধার করে নিজের গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রম বর্মা নামে সেই বাইকচালককে ধরে পুলিশ।
একটি রেস্তরাঁর কর্মী ওই তরুণী জানিয়েছেন, সে দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি যাওয়ার জন্য তিনি পার্ক স্ট্রিট মোড় থেকে একটি অ্যাপ-বাইকে ওঠেন। তাঁর বাড়ি বাঁশদ্রোণীতে। অভিযোগ, চালক তাঁকে মালঞ্চ সিনেমার সামনে নেমে যেতে বলে। তরুণী জানান, বাড়ি পর্যন্ত বাইক বুক করা থাকলেও চালক কিছুতেই সেখানে যেতে রাজি হয়নি। এক রকম জোর করেই সেখানে তাঁকে নামিয়ে দেয় ওই যুবক। তরুণী চালককে জানান, তিনি যে গন্তব্যের জন্য বাইক বুক করেছেন, সেই পর্যন্ত না গেলে ভাড়া দেবেন না। অভিযোগ, এ কথা শুনেই বাইকচালক তাঁর সম্মানহানির চেষ্টা করে। তরুণীকে সে বলে, অত রাতে ‘ভদ্র বাড়ির মেয়েরা’ রাস্তায় বেরোন না। এমন সব মন্তব্যের পাশাপাশি ওই চালক কিছু অশালীন কথাবার্তাও বলেছিল বলে অভিযোগ। যা শুনে তরুণী রাস্তা পেরিয়ে উল্টো দিকে চলে যান। তরুণীর কথায়, ‘‘বাবাকে ফোন করে কথা বলতে যাচ্ছি, তখনই হঠাৎ ওই চালক এসে আমাকে থাপ্পড় মারে। তার পরেই আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে বাইক নিয়ে চলে যায়।’’
এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই তরুণী। সেই সময়েই কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এসি প্রসেনজিৎ সোম গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তরুণীকে ওই অবস্থায় দেখে তিনি গাড়ি থামান। তরুণী সব খুলে বলেন তাঁকে। প্রসেনজিৎবাবু তখনই ওই তরুণীকে থানায় নিয়ে যেতে চান। কিন্তু তিনি প্রথমে বাড়ি যেতে চাইছিলেন। তাই তরুণীকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন ওই আধিকারিক। তিনি থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ওই তরুণী থানায় গেলে পুলিশ বিক্রমকে ধরে।
বৃহস্পতিবার ওই তরুণী বলেন, ‘‘আমায় ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল ওই চালক। তার পরে আরও যে কিছু করত না, কে বলতে পারে!’’ অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চান তিনি। এর আগে রবিবারও এক তরুণী যাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল এক অ্যাপ-বাইক চালকের বিরুদ্ধে।