গাড়ি আটকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ, কড়া সিপি

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, সোমবার জনৈক মহিলা কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন, ওই দিন সকালে বন্দর এলাকার রিমাউন্ট রোডে, কাঁটাপুকুর মর্গের কাছে বাস থামিয়ে জোর করে কালীপুজোর নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৩
Share:

অনুজ শর্মা। —ফাইল চিত্র

কালীপুজোর জন্য শহরে চাঁদার জুলুম বরদাস্ত করা হবে না, তা নিশ্চিত করতে বলে বাহিনীকে বার্তা দিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। প্রতিটি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার এবং থানার ওসিদের সতর্ক করেছেন তিনি। লালবাজার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কমিশনার তাঁর পাঠানো বার্তায় বলেছেন, ‘‘চাঁদার জুলুম সহ্য করা হবে না। আমি এই সম্পর্কে কোনও অভিযোগ শুনতে চাই না।’’

Advertisement

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, সোমবার জনৈক মহিলা কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন, ওই দিন সকালে বন্দর এলাকার রিমাউন্ট রোডে, কাঁটাপুকুর মর্গের কাছে বাস থামিয়ে জোর করে কালীপুজোর নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এর পরেই চাঁদার জুলুম নিয়ে নিজের কঠোর মনোভাবের কথা বাহিনীকে জানান কমিশনার। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বাস থামিয়ে জোর করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। সূত্রের দাবি, ওই সব এলাকায় তল্লাশি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

মঙ্গলবার বিকেলে অবশ্য জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দুই ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, দক্ষিণ বন্দর থানার রিমাউন্ট রোডে মালবাহী গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলছিল রোহিত ধানুক ও গোবিন্দ ধানুক নামে ওই দু’জন। গাড়ির চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের ধরে পুলিশ।

Advertisement

এক পুলিশকর্তার মতে, রাজ্যের অন্যত্র রাস্তা আটকে চাঁদা তোলার অভিযোগ থাকলেও কলকাতায় রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছে এমন কোনও অভিযোগ এত দিন মেলেনি। ফলে সেই অভিযোগ ওঠায় কমিশনার ক্ষুব্ধ। তাই তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিসি এবং ওসিদের।

কালীপুজোয় শব্দদানবকে জব্দ করার জন্য রবিবার রাতেই থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কমিশনার। একই সঙ্গে কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যাতে বড় সাউন্ড বক্স বা ডিজে না বাজে, তার জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ শব্দবাজি ধরতে তল্লাশি করার কথাও বলেছিলেন কমিশনার।

লালবাজার সূত্রের খবর, কমিশনারের ওই বার্তার পরেই ডেপুটি কমিশনারেরা নিজের নিজের এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় টহলদারি বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যে সব রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলে এবং রাস্তা অপেক্ষাকৃত ভাবে নির্জন, সেই সব জায়গায় বেশি করে টহলদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকেও ওই বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে। কারণ, রাস্তা আটকে গাড়ি থেকে চাঁদা তোলার জন্য যানজট হতে পারে। এ ছাড়া রাস্তায় সব সময়ে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা থাকেন। তাই তাঁদের পক্ষে সহজেই নজরদারি চালানো সম্ভব বলে পুলিশের একাংশের মত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement