ফাইল ছবি
বেলা বারোটা নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবীরাও। যদিও অনুব্রতর পৌঁছনোর আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তাঁর দুই আইনজীবী। টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স বেরোন অনুব্রত।
সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার সময় ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তৃণমূল নেতার কাছে তাঁর কন্যার মোবাইল নম্বরও জানতে চাওয়া হয়। কারণ, ঘটনার সময় তিনি নিজের মোবাইল ব্যবহার না করে কন্যার মোবাইল ব্যবহার করে থাকতে পারেন। তা তদন্ত করে দেখার জন্য গোয়েন্দারা তাঁর কন্যারমোবাইল নম্বর নেন। তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীদেরও ফোন নম্বর নেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে লিখিত বয়ানও নেওয়া হয়।
গত শুক্রবার অসুস্থতার কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বুধবার আবার ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার মধ্যে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে এ বার গরু পাচার নয়, রাজ্যে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র ঘটনায় তাঁর ভূমিকা জানতে অনুব্রতকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বুধবার রাতেই বীরভূম থেকে কলকাতায় এসেছেন অনুব্রত। চিনার পার্কের বাড়িতে ছিলেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।