একটি ক্লাব ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউ টাউনের প্রমোদগড়। অভিযোগ, কয়েক জন দুষ্কৃতী প্রমোদগড় স্পোর্টিং ক্লাবে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ক্লাবে রাখা এলাকার একটি স্কুলের মিড-ডে মিলের জিনিসপত্রও ভাঙা হয়। উত্তেজনা থাকায় বৃহস্পতিবার এলাকায় একাধিক বার টহল দেয় পুলিশ।
কিন্তু দুষ্কৃতীরা কেন ক্লাব দখল করতে চাইছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ জেনেছে, ক্লাবের পরিচালন সমিতি গঠন নিয়ে কিছু মাস ধরে অশান্তি চলছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ক্লাবের দখল নিতে পারলে দুষ্কৃতীরা এলাকার সিন্ডিকেটও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
আরও অভিযোগ, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এসেছে নিউ টাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ও সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদারের অনুগামীদের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই। সব্যসাচীবাবু বলেন, “এটা দুষ্কৃতী-হামলা। প্রধান অভিযুক্ত আফতাবউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল লোক এলাকার শান্তি নষ্ট করতে হামলা চালাচ্ছে।” আফতাবউদ্দিন নিউ টাউনের তৃণমূল সাংসদ কাকলীদেবীর অনুগামী বলে পরিচিত। কাকলীদেবীর সঙ্গে অবশ্য ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি, মেলেনি এসএমএসের জবাবও। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আফতাবউদ্দিন বলেন, “ক্লাব ভাঙচুর করেছে সব্যসাচীবাবুর অনুগামীরা। সব্যসাচীবাবু ক্রমশ জনসমর্থন হারানোয় হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।” সব্যসাচীবাবুর বক্তব্য, “জনসমর্থন হারানোর কোনও পরিসংখ্যান কেউ কি দিতে পারবেন? লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচন সবেই আমার নেতৃত্বে তৃণমূলের
ভোট বেড়েছে।”
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত হলেও পুলিশ কার্যত দর্শক। যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “প্রমোদগড়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দুষ্কৃতীরা শীঘ্র ধরা পড়বে। এর পিছনে সিন্ডিকেট-জনিত সমস্যা আছে কি না, তা আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করে দেখছি।”