যত্ন: পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছেন এক পশুপ্রেমী। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে কুকুরছানাদের পিটিয়ে মারার স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে হাওড়ায় পথকুকুরদের খাওয়ানোর কর্মসূচি নিল কলকাতার বিধান সরণির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
রবিবার সকালে হাওড়ার বটানিক্যাল গার্ডেন থেকে এলাকায় পথকুকুরদের খাওয়ানোর ওই কর্মসূচিতে বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন পশুপ্রেমীরা। পশু নির্যাতন করলে আইনত কী শাস্তি হতে পারে, তা জানানো হয় তাঁদের। উদ্যোক্তা সংস্থার সভাপতি সোমনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, পোষ্য ভাল না বাসলে বাসবেন না। তবে নিষ্ঠুর হবেন না। পথকুকুরেরা উপদ্রব করলে কাউন্সিলরকে জানান। পুরসভা নির্বীজকরণের কর্মসূচি নেবে।’’
পশুপ্রেমীদের দাবি, কটূক্তি করার বদলে এ দিন তাঁদের বক্তব্য মন দিয়ে শুনেছেন স্থানীয়েরা। শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছনে গঙ্গার ধার বরাবর বস্তি, দানেশ শেখ লেন, শালিমার রেলস্টেশন, নবান্ন সংলগ্ন এলাকা— সর্বত্রই প্রায় একই ছবি। সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘এ ধরনের কর্মসূচি নিলে আদিখ্যেতা, মানুষ খেতে পাচ্ছে না কুকুর খাওয়াচ্ছে জাতীয় কথা শুনতেই হয়। কিন্তু যে ভাবে বাসিন্দারা আমাদের কথা শুনেছেন, তাতে হতবাক হয়ে গিয়েছি। অনেকে স্বেচ্ছায় পশু নির্যাতন আইন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। হয়তো এন আর এসের ঘটনার জন্যই টিপ্পনি শুনতে হল না।’’
যেখানে পশুদের উপরে নির্যাতনের খবর বেশি পাওয়া যায়, সে সব অঞ্চলেই এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এর পরেও এ দিনের উলটপুরাণের কারণ হিসাবে এন আর এস-কাণ্ডকেই দেখছেন পশুপ্রেমীদের একাংশ। তবে ভিন্ন মতের শরিকও রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এন আর এস-কাণ্ড কয়েক দিনের বিতর্কে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির অন্ত ছিল না। এই আবহে প্রকাশ্যে টিপ্পনি করার ঝুঁকি হয়তো অনেকে নিতে চাননি।