পথকুকুরদের সেই আস্তানার সামনে মল্লিকা সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
টিনের ছাউনি দিয়ে পথকুকুরদের জন্য একটি ঘর বানিয়ে দিয়েছিলেন নেতাজি নগরের বাসিন্দা মল্লিকা সরকার। গত মঙ্গলবার রাতে ওই ঘরের ভিতরেই ছয় পথকুকুরের বৈদ্যুতিক শকে মৃত্যুর ঘটনায় ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ দেখছেন মল্লিকাদেবী।
তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করে বিদ্যুতের তার টিনের ছাউনিতে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পথকুকুরদের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মল্লিকাদেবী। বৃহস্পতিবার বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে ওই ছয় পথকুকুরের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাজল হালদার নামে স্থানীয় এক পশুপ্রেমী ওই পথকুকুরদের দেখভাল করতেন। তিনি এতটাই তাদের ভালবেসে ফেলেছিলেন যে, অনেক সময় সেখানেই থেকে যেতেন পেশায় পরিচারিকা কাজলদেবী। ওই রাতে তিনি কাজে গিয়েছিলেন। ছোটন নামে স্থানীয় এক যুবক প্রথম দেখেন, ওই ঘরে পথকুকুররা ওখানে মরে পড়ে আছে। তিনি মল্লিকাদেবী-সহ অন্য এক পশুপ্রেমী মৌসুমী সিংহকে বিষয়টা জানান। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ওই পথকুকুরগুলি এ দিক ও দিক পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিবেশীদের মধ্যে কয়েক জন জড়িত রয়েছেন বলে মনে করছেন মল্লিকাদেবী।
আরও পড়ুন: ৮০ চাকার গাড়ি বহনেও সক্ষম হবে নয়া টালা সেতু
নেতাজি নগর থানা এলাকায় বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনের কাছে ওই জমির উপর স্থানীয় বাজার বসে। মল্লিকাদেবীর দাবি, ওই জমি তাঁর নামে রয়েছে। বেআইনি ভাবে তা দখল করে রেখেছেন একাংশের ব্যবসায়ীরা। তা নিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্যবস্থায়ীরা ওই জায়গা থেকে উঠছেন না। মল্লিকাদেবী ওই জমিতে পথ কুকুরদের আশ্রয় দিতে উদ্যোগী হওয়ার পর, বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি কয়েক জন বাসিন্দা। এমনটাই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী পশুপ্রেমী মৌসুমী। তিনি বলেন, “ছোটন আমাকে খবর দেন। ওই সময় পথকুকুরদের কাছে কাজল ছিলেন না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।”
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রের