তৃণমূলের মুখপত্রের প্রশ্ন, এবার কী করবেন সিপিএম নেতারা? গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার, রাত ৮টায় আনন্দবাজার অনলাইনে সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতা ধরের একটি ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। সেই সাক্ষাৎকারে বালির সিপিএম প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্বন্ধে নিজের মত জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নেত্রী হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছেন মমতা। আনন্দবাজার অনলাইনের সেই সাক্ষাৎকারকে এ বার হাতিয়ার করে অজন্তা ইস্যুতে সিপিএমকে বিঁধল তৃণমূলের মুখপত্র।
ক’দিন আগেই তৃণমূলের মুখপত্রে কয়েক কিস্তিতে ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক লেখায় স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলার নারীর অবস্থা তুলে ধরেছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে রবীন্দ্রভারতীর অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাস। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন অনিল-কন্যা। তাঁর লেখা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় আলিমুদ্দিনে। শেষ পর্যন্ত অজন্তাকে সাসপেন্ড করে সিপিএম।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপত্রে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া দীপ্সিতার সাক্ষাৎকারকে উদ্ধৃত করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এ বার কী করবে সিপিএম? কারণ অজন্তা প্রসঙ্গ সামনে রেখে তৃণমূলের মুখপত্রের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা আলিমুদ্দিনের কাছে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সমান অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
গত শনিবারের সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদক দীপ্সিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন মমতাকে তাঁর কেমন লাগে? দীপ্সিতার উত্তর ছিল, ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে চিনি না। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে? সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় নেত্রীর উত্তর ছিল, ‘‘আমার মনে হয়, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজেকে নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি সফল হয়েছেন। আমার মনে হয় রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মুখ্যমন্ত্রী, তিনি নেত্রী। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বহু মানুষ তাঁকে মাতৃরূপাও মনে করেন।’’