ফাইল চিত্র।
ভরদুপুরে রাস্তায় দাঁড়ানো একটি টোটোয় বসে আছেন এক ব্যক্তি। তাঁর গলার নলি কাটা, মুখ দিয়ে গোঙানির আওয়াজ বেরোচ্ছে। হাতে রক্তমাখা ব্লেড। টোটোর চালক চিৎকার করছেন, ‘‘মরে গেল, মরে গেল’’ বলে। কয়েক জন পথচারী আবার মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করছেন সেই দৃশ্য।
শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে বীজপুর থানা এলাকার কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, চলন্ত টোটোয় বসে নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা, বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
জনবহুল রাস্তায় এমন ঘটনায় কার্যত হতভম্ব হয়ে যান পথচারী থেকে পুলিশ-প্রশাসন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির পায়ে সংক্রমণ ছিল, মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্লেডটি উদ্ধার হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যাত্রী টোটোর পিছনের আসনে বসার পরে চালক জানতে চান, তিনি কোথায় যাবেন। সামনেই কোথাও যাবেন বলে ইশারা করে বসে থাকেন তিনি। টোটোটি ফাঁকা ছিল। চালক প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে লুকিং গ্লাসে দেখেন, পিছনের আসনে বসা ওই যাত্রীর গলা কাটা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে জামা। তিনি ছটফট করছেন। এর পরেই চিৎকার করে স্থানীয় লোকজনকে ডাকেন টোটোচালক।
পুলিশের অনুমান, পায়ের সংক্রমণের কারণেই অবসাদের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সংক্রমণেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।