প্রতীকী ছবি।
শ্রাবণ মাসের প্রথম দিনে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন চার বন্ধু। তাঁদের এক জন গঙ্গায় স্নান করতে নেমেছিলেন। আচমকাই জোয়ারের জলে তলিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করা গেলেও বাঁচানো যায়নি। সোমবার সকালে, আহিরীটোলা ঘাটের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সমীর রাজপুত (১৮)। বাড়ি হাওড়ার সাঁতরাগাছি থানা এলাকার ব্রজনাথ লাহিড়ী লেনে।
কলকাতা পুলিশ জানাচ্ছে, ঋতম পাত্র, দেবজিৎ মুখোপাধ্যায় ও সুমন মাজি নামে তিন বন্ধুর সঙ্গে সমীর এ দিন লঞ্চে আহিরীটোলা ঘাটে আসেন। তবে বন্ধুদের আপত্তি না শুনেই জলে নামেন হাওড়া ময়দানের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র সমীর। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরা আহিরীটোলা ঘাটের পাশ থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে।
সমীরের প্রতিবেশীরা জানান, ওই তরুণ অতি নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে। তাঁর বাবা শিবাজী রাজপুত কারখানার শ্রমিক, মা ফল বিক্রি করেন। তাঁর মাকে এ দিনের দুর্ঘটনার কথা না জানানো হলেও ছেলের বিপদের আশঙ্কা করে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনার পরে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ সমীরের তিন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, গঙ্গায় সে সময়ে জোয়ার চলছিল। শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার হওয়ায় ঘাটে বেশ ভিড় ছিল। মাইকে জোয়ার আসার কথা বলে সতর্ক থাকার ঘোষণাও করা হচ্ছিল। তবু সমীর জলে নামেন। উত্তর বন্দর থানা থেকে বেরিয়ে ঋতম বলেন, ‘‘আগে কখনও এখানে আসিনি। শুধু সমীরই এসেছিল। ওকে জলে নামতে বারণ করলেও কথা শোনেনি। প্রথমে দু’একবার জলে ডুব দিয়ে উঠে পড়ছিল। আচমকাই তলিয়ে গেল। লোকজনকে ডাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষে অনেকটা দূরে গিয়ে পুলিশকে খবর দিই।’’