—প্রতীকী ছবি।
ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় অধিকাংশ কথা বা কাজকর্মই মনে রাখতে পারতেন না বৃদ্ধ। ফলে, চতুর্থ পর্যায়ের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ে টানা কয়েক দিন মলত্যাগ না করলেও, তা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণে অন্ত্রে বাধা তৈরি হয়ে শেষ পর্যন্ত ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিচর্যায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধের পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে বলার কিছু নেই। কিন্তু স্টেজ ফোর ক্যানসারে আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের ডিমেনশিয়া ছিল। নিজে ঠিক করে কিছু বলতেও পারেননি। তাই, মলত্যাগের জন্য কোনও ব্যবস্থাও হাসপাতাল করেনি।’’ এর জন্য একই গোষ্ঠীর পরিচালনায় থাকা হাওড়া ও বাইপাসের ধারের দুই হাসপাতালকে আড়াই লক্ষ করে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল কমিশন। জানা যাচ্ছে, ক্যানসারের কিছু পরীক্ষার জন্য প্রথমে হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি হন ওই রোগী। সেখানে তিন দিন ধরে মলত্যাগ করেননি তিনি। কিন্তু তার পরেও ছুটি দেওয়া হয় রোগীকে। বাড়ি গিয়ে রাতে শৌচালয়ে যেতে গিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান বৃদ্ধ। তার পরে ই এম বাইপাসের ধারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তিন দিন ধরে মলত্যাগ করেননি বৃদ্ধ। অর্থাৎ ছ’দিন ধরে অন্ত্র বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।