—প্রতীকী ছবি।
চারতলার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে আবাসনেরই এক বাসিন্দা সেখানে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। তিনি ধাক্কা দিতেই খুলে যায় ফ্ল্যাটের দরজা। ওই ব্যক্তি ঢুকে দেখেন, ফ্ল্যাটের প্রৌঢ় বাসিন্দার দেহ অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে মাটিতে। এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুর লেনে। পুলিশ এসে দেহ ময়না তদন্তে পাঠায়। বিকেলে তার প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরে জানা যায়, প্রৌঢ়কে গলা টিপে খুনকরা হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, দিন তিনেক আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ের নাম ডি মারিয়ান (৬৭)। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রৌঢ় যেখানে পড়েছিলেন, তার পাশ থেকে যৌন ক্ষমতাবর্ধক বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, খুন করার আগে তাঁকে যৌন সংসর্গে লিপ্ত করা হয়েছিল। মারিয়ানের খাবার তৈরি করে দিতে এক মহিলা নিয়মিত তাঁর ফ্ল্যাটে আসতেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি গত তিন দিন ধরে স্থানীয় একটিনার্সিংহোমে ভর্তি। এ দিন সেখানে গিয়ে মহিলাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতিমিলেছে। এমনকি, তিনি মারিয়ানের ফ্ল্যাটে কাজ করতেন না বলেও দাবি করেছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই প্রৌঢ়ের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে ওই আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া এসেছিলেন মারিয়ান। আবাসনের তেতলার এক বাসিন্দা জানান, বৃদ্ধের ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে খোলা ছিল। তাই ধাক্কা দিতেই সেটি খুলে যায়। ফ্ল্যাটের মালিককে ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। এ দিন ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেটি তালাবন্ধ।
লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, মারিয়ানের ফ্ল্যাটে রান্না করতেন যে মহিলা, তিনি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন।এ দিন বিকেলে ফের নার্সিংহোমে গিয়ে তাঁকে জেরা করেছে তদন্তকারী দল। তবে পুলিশ এই ঘটনারপিছনে একাধিক অভিযুক্তের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। গত সোমবার থেকে কারা কারা ওই আবাসনে এসেছেন, সেই খোঁজও শুরুকরেছেন তদন্তকারীরা।