ফুল-পাতা থেকে ধূপ এবং আবির তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে ওই পুরসভা। প্রতীকী ছবি।
পচনশীল বর্জ্যের একটি অংশ ব্যবহার করে ধূপ এবং আবির তৈরির পরিকল্পনা করেছে উত্তর দমদম পুরসভা। পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই কাজে সাফল্য মিলছে বলেও দাবি তাদের।
পুজোয় ব্যবহৃত ফুল ও পাতা আলাদা করে সংগ্রহ করার কাজ চলছে। মূলত সেই ফুল-পাতা থেকে ধূপ এবং আবির তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে ওই পুরসভা। এক পুরকর্তা জানান, এ কাজে একটি সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। উৎপাদন থেকে বিপণনের পুরো প্রক্রিয়ায় তাঁদের কাজে লাগানো হবে। ফলে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা যেমন হবে, তেমনই আয় বাড়বে পুরসভার।
এক বাসিন্দা কৌশিক রায় বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে ফুল-পাতা সংগ্রহ হচ্ছে। অথচ তার পরেও অনেকেই জলাশয়ে, রাস্তার ধারে সে সব ফেলে দেন।’’ ফলে এই প্রচেষ্টা যে বাসিন্দাদের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়, মানছেন অনেকেই। তাই সচেতনতার প্রসারেও নজর দিতে হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোয় ব্যবহৃত ফুল-পাতা থেকে ধূপ ও আবির তৈরি করতে একটি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র (সুডা) আধিকারিকদের সঙ্গে উত্তর দমদম পুর কর্তৃপক্ষ আলোচনা করেছেন। শুধু উৎপাদনই নয়, বিপণন ব্যবস্থার দিকেও নজর বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণে সাড়া মিলেছে। এ বার পচনশীল, অর্থাৎ ফুল-পাতার মতো বর্জ্যকে কাজেলাগিয়ে আবির এবং ধূপ বানানোর পরিকল্পনা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সেই কাজে লাগানো হবে। তাতে তাঁদের গোষ্ঠীর আয় যেমন বাড়বে, তেমনই পুরসভার আয়ওবৃদ্ধি পাবে।