কোভিড পর্ব কাটিয়ে এ বার পুরনো ছন্দে ফিরছে পার্ক স্ট্রিট। গত দু’বছর সরকারি বিধিনিষেধের পরেও বড়দিনের ভিড় এড়ানো যায়নি। —ফাইল ছবি
অতিমারি পর্ব কাটিয়ে গত বছরের তুলনায় এ বারের বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে দ্বিগুণ জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ভিড় সামলাতে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি বাড়তে পারে মোতায়েন থাকা পুলিশের সংখ্যাও। ইতিমধ্যেই গত বছরের তুলনায় ভিড় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনার কথা লালবাজারকে জানানো হয়েছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। তবু এই বিপুল জনসমাগমের চাপ সামলানো কী ভাবে সম্ভব, সেই প্রশ্ন ঘুরছে পুলিশ মহলের অন্দরেই।
কোভিড পর্ব কাটিয়ে এ বার পুরনো ছন্দে ফিরছে পার্ক স্ট্রিট। গত দু’বছর সরকারি বিধিনিষেধের পরেও বড়দিনের ভিড় এড়ানো যায়নি। গত বছর বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ, যা সামলাতে কার্যত নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। কিন্তু এ বছর জমায়েতের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফলে এ বার ভিড় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ। ইতিমধ্যেই থানা, ডিভিশনের তরফে লালবাজারকে জানানো হয়েছে, বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। মধ্যরাত পর্যন্ত সেই ভিড় থাকতে পারে বলেও মনে করছেন পুলিশআধিকারিকেরা। ফলে ভিড় সামলানোর পাশাপাশি রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাও পুলিশের সামনে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রতি বারই কত ভিড় হতে পারে, তার একটা হিসাব করে লালবাজারকে পাঠানো হয়। সেই মতো লালবাজারের তরফে ভিড় সামলাতে পুলিশি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হয়। এ বছর তুলনায় দ্বিগুণ ভিড় হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশি ব্যবস্থাও আগের বছরের তুলনায় বাড়তে পারে। গোটাটাই লালবাজার ঠিক করবে।’’
গত বছর পার্ক স্ট্রিট এবং সংলগ্ন এলাকায় বড়দিন উপলক্ষে বিকেল চারটে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চার জনঅ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার ছাড়াও ভিড় সামলাতে শুধু পার্ক স্ট্রিট চত্বরেই মোতায়েনছিলেন একাধিক ডেপুটি কমিশনার। ১১টি ওয়াচটাওয়ার করে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো হয়। ছিল কলকাতা পুলিশের উইনার্স বাহিনী থেকে শুরু করে কুইক রেসপন্স টিম, অ্যাম্বুল্যান্স। নিরাপত্তায় নামানো হয় প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মী। এ বার ভিড় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনায় পুলিশের সেই সংখ্যাও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ভিড় সামলাতে যা যা ব্যবস্থা করার, ডিভিশনের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভিড় বাড়লে যদি পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার প্রয়োজন হয়, তারও ব্যবস্থা করা হবে।’’