প্রতীকী ছবি।
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার নাম করে সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তিন ভাইবোন। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে রাত গড়িয়ে গেলেও না ফেরায় পরিজনেরা সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিন জনের ছবি দিয়ে তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশও। শেষমেশ মঙ্গলবার ভোরে এক অটোচালক ওই তিন জনকে সোনারপুরে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডলের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে সোনারপুরের ঘাসিয়াড়ায় সুভাষবাবুর ভাগ্নের বাড়িতে থাকে। ছোট মেয়ে থাকে নরেন্দ্রপুরে মা-বাবার সঙ্গে। একমাত্র ছেলে সুন্দরবনে ঠাকুরমার কাছে থাকে। সুভাষবাবু জানান, লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গত রবিবার তাঁরা সপরিবার সোনারপুরে ভাগ্নে মলয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। মলয়বাবু বলেন, ‘‘সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঠাকুর দেখতে যাবে বলে তিন ভাইবোন বেরোয়। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়ি। আত্মীয়স্বজন ও থানায় পুরো ঘটনা জানাই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ স্থানীয় এক পরিচিত অটোচালক তিন জনকে নরেন্দ্রপুরের একটি মন্দিরের সিঁড়িতে বসে থাকতে দেখেন। তিনিই তাঁদের অটোয় তুলে মলয়বাবুদের বাড়িতে পৌঁছে দেন।