জেলরক্ষীদের ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে এসএসকেএম থেকে পালিয়েছিল বন্দি। প্রতীকী ছবি।
জেলরক্ষীদের ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে এসএসকেএম থেকে পালিয়েছিল বন্দি। এর দিন তিনেকের মধ্যেই আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধরা পড়ল সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের তারানগরে ওই বন্দির আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শনিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন রাতেই তাকে ভবানীপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
লালবাজার সূত্রের খবর, ধৃত বন্দির নাম সূর্যকান্ত মণ্ডল। বাড়ি পাথরপ্রতিমার শিবনগরে। বুধবার ভোরে এসএসকেএমের কার্জন ওয়ার্ড থেকে পালিয়েছিল সে। তাকে গ্রেফতারের পরে পুলিশ জেনেছে, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওই বন্দি হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে প্রথমে বর্ধমান, সেখান থেকে বাসে গোটান যায়। সেখানে এক বন্ধুর বাড়িতে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে তারকেশ্বর স্টেশন থেকে ট্রেনে হাওড়ায় আসে। পরে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে পৌঁছয়। এর পরে ঢোলাহাটে বোনের বাড়িতে যায় সে। দু’দিন সেখানেই গা-ঢাকা দিয়ে ছিল। শনিবার দুপুরে যায় মামাতো ভাইয়ের বাড়ি। এক পুলিশকর্তা জানান, সেই খবর ফোনে জানতে পেরে পাথরপ্রতিমা থানা খবর দেয় ঢোলাহাট থানাকে। তারাই তারানগর থেকে ধরে সূর্যকান্তকে।
গত সেপ্টেম্বরে এক নাবালিকাকে নির্যাতনের মামলায় সূর্যকান্তকে ধরে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে বারুইপুর জেলে ছিল সে। অসুস্থতার কারণে ৫ মে তাকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই পালিয়েছিল সে। পাহারায় গাফিলতির অভিযোগে দুই রক্ষীকে সাসপেন্ড করে কারা দফতর।