পথের দাবি: সেন্ট মার্গারেটস স্কুলের সামনে মানববন্ধন প্রাক্তনীদের। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুমন বল্লভ।
স্কুলের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিনা সেন, বেলা রায়, মঞ্জু চট্টোপাধ্যায়েরা। সেন্ট মার্গারেটস স্কুল থেকে এঁরা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন ১৯৬৫ থেকে ’৭৫ সালের মধ্যে। এঁদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ২০০২ সালের প্রাক্তনী পিয়ালি দত্ত। স্কটিশ চার্চের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হতে চলেছে তাঁদেরই স্কুল ভবনে। সকলেরই তাই দাবি, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ-দ্বাদশের এই সহশিক্ষার সূচনায় তাঁদের স্কুলেরও নাম জুড়তে হবে।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে প্রাক্-প্রাথমিক, প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও পড়বে। এর ফলে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়বে। সেন্ট মার্গারেটস স্কুলের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে একাদশ-দ্বাদশ পড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ দিন সেন্ট মার্গারেটসের প্রাক্তনীরা মানববন্ধন করে বলেন, ‘‘স্কুলের নাম আমরা মুছে দিতে দেব না।’’ একই দাবিতে স্কটিশ চার্চ স্কুলের কিছু পুরুষ প্রাক্তনীও এ দিনের মানববন্ধনে যোগ দেন।
ওই স্কুলের সামনের একটি গেটে দেখা গেল, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের সহশিক্ষার বোর্ড ঝুলছে। সেন্ট মার্গারেটসের প্রাক্তনী, সত্তরোর্ধ্ব রিনা সেন, বেলা রায়েরা বললেন, ‘‘ওই গেটে আমাদের স্কুলের নাম লেখা হোর্ডিং ছিল। সেটি সরিয়ে স্কটিশ চার্চ স্কুলের নাম লেখা হয়েছে। আমাদের স্কুল ভবনে ক্লাস হলে দু’টি স্কুলের নামই থাকতে হবে।’’ অন্য এক প্রাক্তনী ওফেলিয়া সিংহ বলেন, ‘‘সই সংগ্রহ করছি। শুক্রবার স্কুল খুললে স্কটিশ চার্চ এবং সেন্ট মার্গারেটস স্কুলে স্মারকলিপি দেব। শিক্ষা দফতরকেও বিষয়টি লিখিত ভাবে জানাব।’’
সেন্ট মার্গারেটস এবং স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল একই চার্চের অধীনে। তবে বর্তমানে ছাত্রীর অভাবে ধুঁকছে দেড়শো বছরের সেন্ট মার্গারেটস। প্রাক্তনীদের প্রশ্ন, ‘‘আমাদের স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ চালু করা হল না কেন? তা হলেই তো ছাত্রী বাড়ত।’’
স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যাল বলছেন, ‘‘এখন শুধু
ডায়োসেশনের কিন্ডারগার্টেনে স্কটিশের প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রাথমিক চালু হবে। প্রয়োজনে একাদশ ও দ্বাদশের ক্লাস সেন্ট মার্গারেটসে হবে। এ ভাবে স্কুলের নাম মোছা যায় না। শিক্ষা দফতরে প্রতিটি স্কুলের আলাদা অস্তিত্ব আছে।’’