Jadavpur University

Financial crisis: আর্থিক সঙ্কট মেটাতে ‘প্রাক্তনী সেল’ যাদবপুরে

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিংয়ে খুব ভাল ফল করেছে যাদবপুর। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২২ ০৭:৩৮
Share:

প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সঙ্কট মেটাতে নিজেদের ‘প্রাক্তনী সেল’ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা যাদবপুরের প্রাক্তনীরা চাইলে ওই সেলের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করতে পারবেন। উল্লেখ্য, যাদবপুরের এক প্রাক্তন শিক্ষক সম্প্রতি ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫১ লক্ষ টাকা দান করেছেন।

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিংয়ে খুব ভাল ফল করেছে যাদবপুর। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে চতুর্থ স্থানে। সামগ্রিক ভাবে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এবং গবেষণা ক্ষেত্রেও তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এত ভাল ফলের খবর পাওয়ার পরেও প্রশ্ন উঠেছিল, এই র‌্যাঙ্কিং কি ধরে রাখা যাবে? কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছু দিন ধরেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর থেকে অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্যের সাহায্যও যথেষ্ট নয়। তাই সঙ্কট মেটাতে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব প্রাক্তনী সেল তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে প্রাক্তনী সেল তৈরির ওই প্রস্তাব আসে। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব গৃহীতও হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চায়। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এত দিন পর্যন্ত প্রাক্তনীদের কাছ থেকে পরিকল্পিত ভাবে সাহায্য চায়নি। কিছু ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন ভাবে সাহায্য এসেছে। সূত্রের খবর, এ বার পরিকল্পিত ভাবেই প্রাক্তনীদের কাছে পৌঁছতে চাইছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর ভাল ফল করার পরে ফেসবুকে প্রাক্তনীদের একাংশ তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক সাহায্য করার বিষয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি মেনে হোক— এমনটাই চাইছেন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘প্রাক্তনীরা বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে আসছেন। এর মধ্যেই আমেরিকার প্রবাসী প্রাক্তনীরা এগিয়ে এসেছেন। মুম্বই, সিঙ্গাপুরে থাকা প্রাক্তনীরাও আর্থিক সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, এর মাধ্যমেই বোঝা যায়, প্রাক্তনীদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি কতটা ভালবাসা রয়েছে। উপাচার্যের আশা, এ ভাবেই প্রাক্তনীদের সহায়তায় যাদবপুর তার উৎকর্ষ বজায় রেখে চলবে।

সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ নন্দী বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ওই বিভাগের ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য। উপাচার্য জানান, এই আর্থিক সাহায্যে ভীষণ ভাবে উপকৃত হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement