প্রয়োজন ছাড়াই বাইরে বেরোনোয় শাস্তির মুখে দুই যুবক। শনিবার, বাগুইআটি মেন রোডে। ছবি সুমন বল্লভ
বড় রাস্তা প্রায় শুনশান। চিকিৎসকদের গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স আর পুলিশের ভ্যান চলছে শুধু। রাস্তার এক জায়গায় একটি গলির মুখে বসেছে ব্যারিকেড। সেই গলির সামনে দাঁড়াল পুলিশের গাড়ি। ভিতরে চলছে জটলা। পুলিশকর্মীরা তেড়ে গেলেন জটলার দিকে। নিমেষে উধাও ভিড়। সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে এই ছবি ধরা পড়ল শহরের বেশ কিছু এলাকায়।
শুক্রবার লকডাউন ছিল না। সে দিন পাড়ার মোড়-বাজার-রাস্তায় উপচে পড়েছিল ভিড়। শিকেয় উঠেছিল দূরত্ব-বিধি। এ দিন অবশ্য সর্বত্র ভিড় ছিল না। বরং বৃহস্পতিবারের মতোই রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল শহরের অধিকাংশ এলাকায়। তৎপর ছিল পুলিশও। তবে পাড়ার গলিতে সেই লকডাউন অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
এ দিন শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে রাস্তায় বেরোতে দেখা যায়নি। তবে যাঁরা লকডাউন-বিধি অমান্য করে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। হয় গ্রেফতার করা হয়েছে, নয়তো বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পার্ক সার্কাস, তিলজলা, এন্টালি-সহ বেশ কিছু এলাকার অলিগলিতে জটলা দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ইএম বাইপাসের দু’জায়গায় লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরোনো গাড়ি এবং মোটরবাইক আটকাতে গিয়ে জখমও হয়েছেন দু’জন পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন: করোনা নেগেটিভ, তবু ১৪ দিন পরে আসার ‘নিদান’
পুলিশ জানিয়েছে, বাইরে থেকে শহরে যাতে গাড়ি বা মোটরবাইক ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রবেশপথে কড়া নজর ছিল।
সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে (শনিবার) ফাঁকা হাজরা মোড়ে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন-বিধি না মানার জন্য গ্রেফতার হয়েছেন ৭০৩ জন। মাস্ক না-পরায় মামলা হয়েছে ৩৬৮ জনের বিরুদ্ধে। আর রাস্তায় থুতু ফেলার জন্য ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপ্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোনোয় আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ১৪ জন চালকের বিরুদ্ধে।