তাপস চট্টোপাধ্যায়ের
প্রায় ১০ বছরের পুরনো একটি ঘটনাকে ঘিরে বিধাননগর পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও বিধাননগর কমিশনারেটে সোমবার আশু জলি নাইডু নামে এক মহিলা ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহিলার অভিযোগ, ২০০৬ সালে তিনি রাজারহাট-গোপালপুর পুর এলাকার লালকুঠিতে একটি জমি কিনেছিলেন। তাপসবাবু তখন ওই পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান। তখন তিনি ও তাঁর স্বামী আশু বিশ্বনাথ নাইডু ওই জমিতে বাড়ি তৈরি করতে গেলে, তাপসবাবু তাঁর মনোনীত লোকজনের থেকে নির্মাণ সামগ্রী কেনার জন্য তাঁদের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। মহিলার অভিযোগ, তাঁরা বিরোধিতা করলে তাপসবাবুরা তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থাও করতে শুরু করেন। ২০০৯ সালে এক রাতে তাপসবাবুর স্ত্রী তথা তৎকালীন সিপিএম কাউন্সিলর গোপা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের একাংশ তাঁকে এবং তাঁর কন্যাসন্তানকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। উল্লেখ্য, জলিদেবীর স্বামী আশুবাবু ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা (পূর্ব) কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন।
কিন্তু কেন এত দিন পরে অভিযোগ? এর সদুত্তর দিতে পারেননি ওই মহিলা। তাঁর কথায়, ‘‘তখন সিপিএমের আমলে কোনও অভিযোগে কেউ গুরুত্ব দেননি। এখন নতুন করে এই সব বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাই অভিযোগ করছি।’’ তবে পুলিশের কাছে অভিযোগে তাঁদের দাবি, তাপসবাবু এর মধ্যেও ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন তাঁদের কাছে।
যদিও সব অভিযোগ নস্যাৎ করে তাপসবাবুর দাবি, ‘‘এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। ওই মহিলা মিথ্যে কথা বলছেন। আমি মানহানির মামলা করব। আমার মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হোক। ওঁর স্বামী সিবিআই অফিসারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই খবর সংবাদপত্রে প্রকাশও হয়েছিল। ওই ব্যক্তির স্বভাবগত কারণেই ওই রাতে স্থানীয় মানুষ ওঁদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন।’’