মৃত ব্যক্তি হাওড়ার বাসিন্দা। নিজস্ব চিত্র।
পায়ের হাড় ভাঙার এক সপ্তাহ পরেও ফেলে রাখা হয়েছে শুধু ব্যথা প্রশমনের ওষুধ খাইয়ে। করা হয়নি অস্ত্রোপচার। আর তার ফলেই মৃত্যু বলে অভিযোগ মৃত রোগীর আত্মীয়দের। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর এই অভিযোগ উঠল কলকাতার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
মৃত রোগীর নাম জগদীশ গঙ্গোপাধ্যায় (৬২)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে দুর্ঘটনায় পা ভেঙে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হন হাওড়ার বাসিন্দা জগদীশ। মৃতের জামাই সৌমিত্র শাসমলের অভিযোগ, জগদীশের অস্ত্রোপচার না করে তাঁকে শুধু ব্যথা উপশমকারী ওষুধ খাইয়েই রেখে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এর ফলেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রবিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের তরফ থেকে এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলেও সৌমিত্র জানান। জগদীশের মৃত্যুতে খানিক উত্তেজনাও ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।
এমআর বাঙ্গুরের সুপার শিশির নস্কর বলেন, “ওই রোগী ১১ এপ্রিল ভর্তি হন। পায়ের এক জোড়া হাড় ভেঙে গিয়েছিল। কোভিডের পর অন্যান্য বিভাগে অস্ত্রোপচার শুরু হলেও অস্থি চিকিৎসা বিভাগের অস্ত্রোপচার সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো মৃত ব্যক্তিরও অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল সোমবারই। অস্ত্রোপচারের জন্য যাবতীয় পরীক্ষাও করা হয়। কিন্তু তার আগেই রবিবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’’ পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ জানানো হলে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবে বলেও তিনি জানান। কারও গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।