সরশুনার সেই বাড়ি, ইনসেটে, মৃত বৃদ্ধ। -নিজস্ব চিত্র।
সৎকার না করে বাবার মৃতদেহ রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার সরশুনার রাখাল মুখার্জি রোডে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (৮৬)। বুধবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ গিয়ে দেখে, বিছানার উপরে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের পচাগলা মৃতদেহ। পাশেই বসে ছিলেন মৃতের একান্ন বছর বয়সি মেয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দুয়েক আগে রবীন্দ্রনাথবাবুর ছেলের মৃত্যু হয়েছিল। তখনও দেহটি আটকে রেখেছিলেন পরিজনেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে সে বার পুলিশ রবীন্দ্রনাথবাবুর ছেলের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। বছরখানেক আগে রবীন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রীর মৃত্যুর পরেও একই ভাবে দেহটি আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবীন্দ্রনাথবাবু গত দেড় বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, ওই পরিবারের কোনও সদস্যই বাইরের কারও সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতেন না। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।