প্রতীকী ছবি।
রেশন কার্ড, ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে হাজারো প্রশ্ন থাকে গ্রাহকদের। থাকে অজস্র অভিযোগও। সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং অভিযোগ গ্রহণের জন্য এ বার ১২ ঘণ্টার ‘ফুড হেল্পডেস্ক’ চালু করতে চলেছে রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। তার জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে চলেছে তারা। সপ্তাহের সাত দিনই সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা ওই হেল্পডেস্ক চালু থাকবে। তবে ওই হেল্পডেস্ক চালু করতে আর বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। সেই প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জনসাধারণ, খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য এই হেল্পডেস্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে সবাই অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি রেশন কার্ড-সহ সমস্ত বিষয়ে ঠিক তথ্য পাবেন। এর আগে অবশ্য হেল্পলাইন চালু হয়েছিল। দু’টি টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে গ্রাহকেরা তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারতেন। সেই প্রক্রিয়াকেই আরও সুসংহত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে এই হেল্পডেস্কের মাধ্যমে।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, হেল্পডেস্কে ১৬টি আসন থাকবে। তিনটি শিফটে কর্মীরা সেখানে কাজ করবেন। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, রেশন কার্ড বা ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে অনেক সময়েই সাধারণ মানুষের মনে বহু প্রশ্ন থাকে। এই হেল্পডেস্কের মাধ্যমে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। ভাষাগত সমস্যা এড়ানোর জন্য বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি— তিনটি ভাষাতেই কল ‘রিসিভ’ করা হবে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘খাদ্য ও সরবরাহ দফতর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যেমন এই হেল্পডেস্কের মাধ্যমে পাওয়া যাবে, তেমনই কোনও অভিযোগ থাকলে তা-ও জানানো যাবে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই হেল্পডেস্ক চালু করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দু’বছরের চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। নির্বাচিত সংস্থার কাজে দফতর সন্তুষ্ট হলে চুক্তির মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হতে পারে। কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিভ্রান্তি তৈরি হয় গ্রাহকদের একাংশের মধ্যে। যেমন, যাঁদের এখনও ডিজিটাল রেশন কার্ড হয়নি তাঁরা যাতে খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, তাই কোভিড আবহে পুরনো রেশন কার্ডের ভিত্তিতেই তাঁদের জন্য বিশেষ কুপনের ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। ওই কুপনের পরিবর্তে এ বার ডিজিটাল রেশন কার্ড মিলবে। ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত নির্দেশ কলকাতার পুর কমিশনার-সহ সব জেলাশাসকের কাছে চলে গিয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর। রেশন কার্ড পাওয়ার সব শর্ত পূরণ হলে সংশ্লিষ্ট কুপন প্রাপক ডিজিটাল রেশন কার্ড পাবেন। তাঁর কার্ড রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ এর অন্তর্ভুক্ত হবে।