আলিপুর চিড়িয়াখানা
আধুনিকীকরণের পথে আলিপুর চিড়িয়াখানা। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি সই করে ফেলল রাজ্য বন দফতর।
অনেক দিন থেকেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি চিড়িয়াখানাকে ঢেলে সাজার কথা ভাবনাচিন্তায় ছিল সরকারের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর বনমন্ত্রী করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তার পরেই চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণ নিয়ে বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাগের চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো ও বন্যপ্রাণ বৈচিত্র দেখে পছন্দ হয় বন দফতরের কর্তা ও আধিকারিকদের। পরিকাঠামোগত আধুনিকীকরণ নিয়ে প্রাগের প্রস্তাব দেখে আধিকারিকদের সবুজ সঙ্কেত দেন বনমন্ত্রীও। তার পরেই চুক্তি সই-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে ৪৬.৫ একর এলাকা নিয়ে রয়েছে চিড়িয়াখানা। ১৮৭৫ সালে এটি খোলা হয় দর্শকদের জন্য। এর আধুনিকীকরণের কাজে খরচ করা হবে ৮০ কোটি টাকা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে ভাবে প্রাগ চিড়িয়াখানাকে আধুনিক করে তোলা হয়েছে, সে ভাবেই আলিপুর চিড়িয়াখানাকে বদলানো হবে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে বন্যপ্রাণীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী আদান-প্রদান নিয়েও দুই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের এক কর্তা।
প্রাগ চিড়িয়াখানাকে আধুনিকীকরণের কাজে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেছেন, “ওদের চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো যেমন আমাদের খুশি করেছে, তেমনই প্রাগ চিড়িয়াখানায় এমন বহু প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে, যা ভারতে বিরল প্রজাতি হিসেবে ধরা হয়। তাই আধুনিকীকরণের কাজে যেমন ওদের পরিকাঠামোকে আমরা কাজে লাগাব, তেমনই আমরা ওদের চিড়িয়াখানা থেকে এমন অনেক প্রাণী নিয়ে আসতে পারব, যা পশ্চিমবঙ্গ কেন ভারতের মানুষও দেখেননি।” কয়েকটি বন্যপ্রাণ বিনিময় নিয়ে দুই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন বনমন্ত্রী। তবে এখনই সে ব্যাপারে আর বেশি খোলসা করতে নারাজ তিনি।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় আলিপুর চিড়িয়াখানাকে দেশের সবচেয়ে পুরনো চিড়িয়াখানা হিসাবে লেখা হয়েছিল। তথ্যটি সঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।)