—ফাইল চিত্র।
সিমেস্টার ফি মকুব করে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলনরত ছয় পড়ুয়াকে বহিষ্কার করল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের হস্টেল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। এ দিকে শুক্রবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থেকেই উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখেন পড়ুয়ারা। তার জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গত দু’দিন ধরেই উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল টিএমসিপি ছাত্র পরিষদ। তাদের অভিযোগ, সিমেস্টারের ফি না দিলে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিচ্ছেন না উপাচার্য। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, ফি মকুবের জন্য আর্থিক অবস্থা ভাল নয় এমন পড়ুয়াদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
যদিও পড়ুয়াদের পাল্টা অভিযোগ, উপাচার্য এমন কোনও প্রস্তাব দেননি। তাঁরা জানান, ফল প্রকাশের সময়ে তাঁরা সিমেস্টার ফি দিয়ে দেবেন। এখন পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক।
কর্তৃপক্ষের পাল্টা অভিযোগ, কয়েক জন পড়ুয়ার হাতে রেজিস্ট্রার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন কর্মী নিগৃহীত হন। অসুস্থ উপাচার্যকেও ঘেরাও করে রাখা হয়। এ সবের জেরেই শুক্রবার ওই ছাত্রদের বহিষ্কারের নোটিস দেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
শুক্রবার রাতে অবশ্য ঘেরাও উঠে যায়। ছাড়া পান উপাচার্যও। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ছাত্রদের স্বার্থেই ওই আন্দোলন চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’’