প্রতীকী ছবি।
পঞ্চাশ পেরিয়ে একান্নতে পা আকাশবাণী কলকাতার যুববাণী বিভাগের। ১৯৬৯ সালের ৩১ জুলাই দিল্লিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী উদ্বোধন করেছিলেন ওই বিভাগের। ১৬ অগস্ট থেকে শুরু হয় যুববাণী কলকাতার সম্প্রচার। সেই থেকে দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে চালু ওই বিভাগ। তরুণ প্রতিভার খোঁজ, তাঁদের প্রতিভার বিকাশ, তাঁদের চিন্তাভাবনা নিয়ে লক্ষ লক্ষ শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাওয়াই লক্ষ্য যুববাণীর।
যুববাণী যেন ১৬ থেকে ৩০, এই বয়সের তরুণ-তরুণীদের নিজেদের কথা প্রকাশ এবং নতুন প্রতিভার মঞ্চ। বর্তমান সময়ের বহু প্রথিতযশার হাতেখড়ি হয়েছে এই কেন্দ্রে। যুববাণীতে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা থেকে শুরু করে রিপোর্টিং, সাক্ষাৎকার , নাটক, গান লেখা, সুর করা, গান গাওয়া সব ধরনের কাজই করেন সেখানকার কর্মীরা। শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, কেরিয়ার কাউন্সেলিং, খেলাধুলো এবং বিজ্ঞানভিত্তিক অনুষ্ঠানও হয় যুববাণীতে। রেডিয়োর নিয়মিত অনুষ্ঠান ছাড়াও যুববাণী কলেজ পড়ুয়া এবং তরুণ শিল্পীদের নিয়ে যুব উৎসব করে।
অজয় চক্রবর্তীকে নিয়ে তিন মাস ধরে ‘সঙ্গীত শিক্ষার আসর’ নামে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুববাণীর অনুষ্ঠান সপ্তাহে সাত দিন সম্প্রচারিত হয় আকাশবাণীর প্রচারতরঙ্গ গীতাঞ্জলিতে। এ ছাড়াও যুববাণীর ফেসবুক পেজেও অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং অডিশন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। ১৬ অগস্ট, সোমবার ৫০ বছর পূর্তি যুববাণীর। আকাশবাণী সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ধন্য ধন্য একান্ন’তে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা শোনাবেন প্রাক্তনীরা। ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পীরা,যাঁরা নানা সময়ে যুববাণীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এই উপলক্ষে শ্রোতাদের জন্য অণুরচনা প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়। তার ফলাফল জানাবেন সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী।