Hunger Strike of Junior Doctors

প্যান্ডেলে লিফলেট বিলি, প্রতীকী মূর্তি নিয়ে শহর পরিক্রমা! ষষ্ঠীর কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের

ষষ্ঠীতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকবে আরজি কর, জয়নগরের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে পরিক্রমা করবেন তাঁরা। ছড়িয়ে দেওয়া হবে লিফলেট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৫৮
Share:

(বাঁ দিকে) ১০ দফা দাবি সম্বলিত সেই লিফলেট। (ডান দিকে) আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার। —নিজস্ব চিত্র।

আমরণ অনশন চলছে ধর্মতলায়। আন্দোলন থেকে যে তাঁরা সরছেন না, তা পঞ্চমীর রাতে স্পষ্ট করে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হল নতুন কর্মসূচির কথা। বস্তুত, পুজোর ক’টা দিন নতুন নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বৃদ্ধি করতে চাইছেন তাঁরা। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে নামা জুনিয়র ডাক্তারেরা।

Advertisement

মঙ্গলবার আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। তার পর দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে বিলি হবে চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকবে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি। ষষ্ঠীতে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে পরিক্রমা করবেন তাঁরা। মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে দেবেন তাঁদের দাবির বার্তা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসকদের গণইস্তফা আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। এসএসকেএম এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তারেরাও ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। তাঁরাও গণইস্তফা দিতে পারেন। বড়দের এই পদক্ষেপ আমাদের সাহস জোগাচ্ছে।’’ তার পরেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন দেবাশিস। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়াতেই আমাদের সিনিয়েরা গণইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু, আমরা শুনছি, তার পর থেকেই তাঁদের উপর প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যদি সত্যি তেমন কিছু হয় তবে আমাদের আন্দোলন তীব্রতর হবে।’’

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁদের ১০ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট পুজোর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ছড়িয়ে দিতে। ষষ্ঠী থেকে প্রতি রাতে পরের দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আন্দোলনকে উৎসবের বিপরীতে রাখতে চাইছে। কিন্তু এটা আন্দোলন বনাম উৎসব নয়, তাঁরা আন্দোলনের উৎসব করছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement