নবান্নের বাইরে অপেক্ষা জুনিয়র ডাক্তারদের। —নিজস্ব চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারেরা নবান্নে পৌঁছে গেলেও, এখনও কাটল না
বৈঠকের জট। আলোচনা সরাসরি সম্প্রচার চাইছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু তাতে রাজি
নয় সরকার। ফলে বৈঠকে এখনও বসা সম্ভব হল না। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী
নবান্ন থেকে না বার হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন বৈঠকের জন্য। নবান্ন সভাগৃহের সামনে বসে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করার পর সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন ছেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গল, বুধের পর বৃহস্পতিতে নবান্নে বৈঠকের জন্য ফের এক বার ডাকা হয়েছিল আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু জট এখনও কাটেনি। আলোচনা পর্ব সরাসরি সম্প্রচার না হলে, নবান্নে বৈঠকে বসতে নারাজ আন্দোলনকারী ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৫ জনের প্রতিনিধিদলকে ডাকা হয়েছিল নবান্নে। কিন্তু প্রায় ৩০-৩২ জন জুনিয়র ডাক্তার বাসে চেপে নবান্নে গিয়েছেন। তাতেও রাজি হয়েছে প্রশাসন। যে বর্ধিত প্রতিনিধিদল গিয়েছে, সকলকে নিয়েই আলোচনায় রাজি নবান্ন। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচারে রাজি নয় সরকার। পরিবর্তে, বৈঠকের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে নবান্ন।
বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল নবান্নে পৌঁছনোর পরও বৈঠকের জন্য প্রবেশ করেননি সভাকক্ষে। বৈঠকের জন্য সব ব্যবস্থাপনা করা ছিল নবান্নের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করছিলেন সভাকক্ষে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের কথা শোনার জন্য। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার-সহ পুলিশ ও আমলা স্তরের শীর্ষ কর্তারা নীচে নেমে এসে কথা বলার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় আন্দোলনরত ডাক্তারেরা— ভিডিয়ো রেকর্ডিং নয়, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। এই আবহের মধ্যেই এখনও কাটল না বৈঠকের জট।