New Alipore Police

ফের বিকল্প নম্বরের অবস্থান দেখে উদ্ধার নাবালিকা

বছর তেরোর এক নাবালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে গত শুক্রবার নিউ আলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিজনেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:১৮
Share:

ফাইল চিত্র।

বিকল্প ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ফের উদ্ধার হল নাবালিকা। এই ঘটনায় বছর বাইশের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই যুবকই নাবালিকাকে বুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। মাসখানেকের মধ্যে একই ভাবে দু’টি তদন্তের কিনারা করল নিউ আলিপুর থানা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বছর তেরোর এক নাবালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে গত শুক্রবার নিউ আলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিজনেরা। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মহাবীরতলা এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে তাকে শেষ বার দেখা গিয়েছে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার বিশেষ কোনও সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। তদন্তকারীরা তখন পরিজনেদের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখতে গিয়ে মেয়েটির কাকিমার ফোনে একটি অচেনা নম্বর পান। দেখা যায়, যে সময় থেকে নাবালিকা নিখোঁজ, তার আশপাশ সময়েই ওই নম্বর থেকে ফোনটি এসেছিল। যদিও সেই মহিলার দাবি, তিনি ওই ফোন ধরেননি। পুলিশ অচেনা নম্বরটিতে ফোন করলে দেখা যায়, সেটি বন্ধ।

নম্বরটি যে মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। সংস্থা জানায়, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা রাজা দাস নামে এক যুবকের মোবাইল নম্বর সেটি।

Advertisement

নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে রাজার পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে খোঁজ নেই তারও। তার পরিবারের থেকেই পাওয়া যায় রাজার ছবি। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাই রাজার বিকল্প একটি নম্বর দেয় পুলিশকে। জানায়, সিমকার্ড কেনার সময়ে যুবক ওই বিকল্প নম্বরটি দিয়েছিল।

এর পরেই পুলিশ ওই নম্বরের টাওয়ারের অবস্থান ধরে খোঁজ করতে থাকে। দেখা যায়, ফলতার ত্রিপুরাপুর নামে একটি গ্রামের কাছে মোবাইলটি রয়েছে। শনিবার সকালেই সেখানে হানা দেয় নিউ আলিপুর থানার একটি দল। গ্রামের এক বাসিন্দা রাজার ছবি দেখেই চিনতে পারেন।

একটি বাড়িতে হানা দিয়ে পাকড়াও করা হয় রাজাকে। উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। তার গোপন জবানবন্দির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মেয়েটি পুলিশকে বলেছে, ‘‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কয়েক দিন রাজার সঙ্গে কথা হয়েছিল। শুক্রবারই প্রথম দেখা হয়েছিল। প্রথমে আমি রাজি না হলেও রাজাই বুঝিয়ে এখানে নিয়ে এসেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement