ফের গাছ কাটার ঘটনা। এ বারও সেই মেহগনি। ঘটনাস্থল সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়!
এ বার ক্যাম্পাসে কর্মীদের কোয়ার্টার্সের পাশে একটি বড় মেহগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যান সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তাঁদের জানানো হয়, গাছটি আগেই শুকিয়ে গিয়েছিল। তবে কে বা কারা কেটেছে, সে বিষয়ে কর্মীরা জানতে পারেননি। ওই জায়গায় খানিকটা কাঠ পড়েছিল। এস্টেট বিভাগ সেগুলি নিয়ে আসে। যে কর্মীর কোয়ার্টার্সের উঠোনে মেহগনি গাছটি ছিল, সেই জিতেন্দ্র সিংহ দাবি করেছেন, বছর দেড়েক আগে তিনি বিহারের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছটি কাটার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই আমি কাউকে কিছু জানাইনি।’’
এর আগে এপ্রিল মাসে মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাছে একটি মেহগনি গাছ কেউ বা কারা কেটে ফেলেছিল। বেশ কিছু কাঠও সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাটি সামনে আসার পরে জুলাই মাসে কর্তৃপক্ষ চার দফা বিধিনিষেধ জারি করেন। তাতে বলা হয়, ক্যাম্পাসে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাঁর জিনিসপত্র তল্লাশি করা হবে। ক্যাম্পাসে গাছ কাটতে গেলে রেজিস্ট্রারের অনুমতি নিতে হবে। কোনও গাছ কাটা হলে এস্টেট বিভাগকে পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করে রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রী বাইরে গেলে প্রতিটি গেটের খাতায় লিখে রাখতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সব গাছের অডিট হবে বলেও স্থির হয়।
এর পরেও আরও একটি মেহগনি গাছ কাটার ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্ন উঠেছে, এর পিছনে কি কোনও চক্র সক্রিয়? জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘চোখের সামনে থেকে এ ভাবে গাছ উধাও হয়ে যাচ্ছে! গাছটি শুকিয়ে গেল কী করে? গাছের গোড়া সম্পূর্ণ ভাবে বাঁধাল কে? বিষয়গুলি কর্তৃপক্ষ জানতে পারছেন না কেন?’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘‘এমন ঘটনা তো কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকেই প্রকট করছে।’’
গোটা বিষয়ে রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, ‘‘গাছটি কাটার অনুমতি আদৌ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, দেখা হচ্ছে। যদি অনুমতি না নেওয়া হয়, তা হলে এস্টেট বিভাগের কাছে সদুত্তর চাওয়া হবে।’’