ফের ট্যাক্সিচালকের হাতে প্রহৃত যাত্রী।
তবে এ বার যাত্রী-প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ নয়। বৃহস্পতিবার রাতে ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে রুট নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এক দম্পতি। অভিযোগ, ট্যাক্সিচালকের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে তাঁর হাতে প্রহৃত হতে হয় ভদ্রলোককে। রাতেই মুন্সি সাউ নামে বছর ষাটের ওই চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বেহালার শিশিরবাগানের বাসিন্দা ওই দম্পতির নাম সোমনাথ দাঁ এবং সুমনা দা।ঁ বৃহস্পতিবার রাতে কালীঘাট থানা এলাকায় সুমনার বাপের বাড়িতে যান তাঁরা। রাত ১২টা নাগাদ বেহালা ফেরার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডে একটি ট্যাক্সি থামান তাঁরা। ট্যাক্সিচালক মুন্সিও যেতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু পুলিশ জানায়, ট্যাক্সিটি হাজরামুখী থাকায় ওই দম্পতি চালককে গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ হয়ে বেহালা যেতে বলেন। তাতে রাজি হননি মুন্সি। দম্পতির কথার তোয়াক্কা না করেই তিনি সোজা হাজরা মোড়ের দিকে এগোতে থাকেন। ট্যাক্সি হাজরা মোড় পৌঁছতেই একটি পুলিশ-কিয়স্ক দেখে চিৎকার করে ট্যাক্সি থামাতে বলেন সুমনা। তা শুনে মুন্সি ট্যাক্সি থামালে তিনি গাড়ি থেকে নেমে কিয়স্কের পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানান।
পুলিশ জানায়, মহিলা কথা বলার সময়ে তাঁর স্বামী ট্যাক্সির ভিতরেই ছিলেন। তিনি নামতে গেলে তাঁকে নিয়েই ট্যাক্সি চালাতে শুরু করেন মুন্সি। চিৎকার করে গাড়ি থামাতে বলা সত্ত্বেও মুন্সি যদুবাবুর বাজারের দিকে এগোতে থাকেন। অবশেষে ভবানীপুর থানা থেকে কিছুটা এগিয়ে পূর্ণ সিনেমা হলের কাছে একটি রেস্তোঁরার সামনে মুন্সিকে ট্যাক্সি থামাতে বাধ্য করেন সোমনাথ। এর পরেই সোমনাথ এবং মুন্সির মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ, কেন জোর করে ট্যাক্সি থামানো হয়েছে, তা নিয়ে সোমনাথকে মারধর করেন মুন্সি। এর মধ্যে অন্য একটি গাড়িতে সেখানে পৌঁছন সুমনা। পুলিশ জানায়, ওই সময়ে কলকাতা পুলিশের এক থানার ওসি গাড়ি নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি সব দেখে ভবানীপুর থানায় ফোন করেন। আসে পুলিশ। সোমনাথ ভবানীপুর থানায় মুন্সির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় ওই চালককে।