‘মা’-এর পথে চিনা মাঞ্জায় ফের জখম

লিফলেট বিলি এবং অটোয় চড়ে প্রচারেও কাজ হচ্ছে না। বন্ধ হচ্ছে না মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় আহত হওয়ার ঘটনা। শনিবার বিকেলে মা উড়ালপুলে ফের ওই মাঞ্জায় আহত হলেন শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক মোটরবাইক আরোহী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২৮
Share:

আহত শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়

লিফলেট বিলি এবং অটোয় চড়ে প্রচারেও কাজ হচ্ছে না। বন্ধ হচ্ছে না মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় আহত হওয়ার ঘটনা। শনিবার বিকেলে মা উড়ালপুলে ফের ওই মাঞ্জায় আহত হলেন শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক মোটরবাইক আরোহী। তাঁর গাল কেটে গিয়েছে। সুতোয় এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গিয়েছে হেলমেটের নীচে বাঁধা রুমালও!

Advertisement

বছর সাতাশের শান্তনুর বাড়ি হাওড়ার পাঁচলা এলাকায়। সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী শান্তনু জানিয়েছেন, শনিবার রাতের ট্রেনে বন্ধুদের সঙ্গে পুরী যাওয়ার কথা তাঁর। সেই জন্য তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। বিকেল পাঁচটা নাগাদ ইএম বাইপাসের কাছ থেকে মা উড়ালপুল ধরেন। তপসিয়া থেকে কংগ্রেস এগজিবিশন রোডে মা উড়ালপুলের নয়া ফ্ল্যাঙ্ক ধরতেই ঘটে বিপত্তি। শান্তনুর কথায়, ‘‘হঠাৎ গালের কাছে জ্বালা করতে শুরু করে। বাইক থামিয়ে দেখি, রক্ত ঝরছে। হেলমেট খুলতেই রুমাল দু’টুকরো হয়ে

হাতে চলে আসে। ঘুড়ির সুতোয় রুমালটি কেটে যায়।’’

Advertisement

শান্তনুকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন অন্য গাড়ির কয়েক জন যাত্রী। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘মাঞ্জা সুতো এমন ভাবে চেপে বসেছিল যে, বাইক না থামালে গাল ফুটো হয়ে যেত ওই যুবকের।’’ কোনও মতে এর পরে বাইক নিয়ে হাওড়ার বাড়ির দিকে রওনা দেন শান্তনু। তবে তিনি পুলিশের কাছে জাননি। তাঁর কথায়, ‘‘আগে বহু বার শুনেছি, এ রকম হয়। আমি ওই পথেই রোজ অফিস যাতায়াত করি। এর পরে তো অফিসে যেতে ভয় করবে। আর পুলিশে গিয়েই বা কী হবে? কিছুই তো থামানো যাচ্ছে না।’’ সন্ধ্যায় পাড়ার চিকিৎসককে

দেখানোর পরে তাঁর গালে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে।

এ দিনের ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেটি তপসিয়া থানা এলাকায়। সেখানকার পুলিশ আধিকারিকেরা বলছেন, পুলিশের তরফে বহু চেষ্টা করা হয়েছে। উড়ালপুল সংলগ্ন এলাকায় চিনা মাঞ্জার ব্যবহার বন্ধের জন্য লিফলেট দিয়ে প্রচারও চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বেনিয়াপুকুর, তিলজলা, তপসিয়া, কড়েয়া, ট্যাংরা এবং প্রগতি ময়দান থানার তরফে নিজেদের এলাকায় যে সমস্ত মাঠ থেকে ঘুড়ি ওড়ানো যেতে পারে, সেখানেও হানা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের শেষ দিকে মা উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা কেএমডিএ-কে পুলিশের তরফে উড়ালপুলের তিন কিলোমিটার অংশে রেলিংয়ের উপরে তিন মিটার উচ্চতার জাল টাঙানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলেও খবর। মনে করা হয়েছিল, ওই জাল বসলে মাঞ্জা সুতোয় লাগাম টানা যাবে। কিন্তু তা এখনও বসানো হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement