গেট-বিতর্কে পদ খোয়ালেন শান্তনু

এন আর এসে জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনের পরে শহরের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলানো শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৪৪
Share:

শান্তনু সেন। —ফাইল চিত্র।

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পরে আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ হাতছাড়া হয়েছিল। গেট-বিতর্কের আবহে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও সেই পদ থেকে সরলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। ঘটনাচক্রে সরকারি হাসপাতালে গেট নিয়ন্ত্রণে বাড়াবাড়ির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন যিনি, সেই তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন ন্যাশনালে।

Advertisement

এন আর এসে জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনের পরে শহরের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলানো শুরু হয়। তার অঙ্গ হিসেবে ন্যাশনালের দু’নম্বর গেট পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক নম্বর গেট চেন দিয়ে বেঁধে মূল ফটকের ছোট দরজা রোগীর আত্মীয়দের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিন নম্বর গেট ছিল শুধু গাড়ির জন্য। এই ব্যবস্থা নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্বর্ণকমল। তার পরে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে হাসপাতালে ঢোকা-বেরোনোর প্রশ্নে কিছু রদবদল করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান পদেই যে বদল ঘটবে, তা হাসপাতাল প্রশাসনের অনেকেই আন্দাজ করতে পারেননি।

এই রদবদলকে শান্তনুর ‘ঘনিষ্ঠ’-রা নির্মল (মাজি) কীর্তি হিসেবেই দেখছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূলের দুই চিকিৎসক-নেতার মধ্যে নির্মলের পাল্লা আপাতত ভারী। কারণ কলকাতা মেডিক্যাল, এন আর এস-সহ একাধিক হাসপাতাল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে একাধিক পদের অধিকারী নির্মলও প্রায়ই বলে থাকেন, ‘‘সব জায়গাতেই তো আমি!’’

Advertisement

যদিও ন্যাশনালের ঘটনার সঙ্গে নির্মল যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বর্ণকমল। তাঁর কথায়, ‘‘দিদিকে বলো-র মাধ্যমে এখন তো মানুষ অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন।’’

আগামী দিনের পরিকল্পনা হিসেবেও স্বর্ণকমলের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক জন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তাঁরা আতঙ্কে আছেন। সেটা কেন, দেখতে হবে।’’ আর শান্তনু বলেন, ‘‘দলনেত্রীর আদর্শে কাজ করি। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’’

নির্মলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব আসেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement