Mysterious Death

দশ দিন পরে গঙ্গায় মিলল নিখোঁজের দেহ

ঘটনার ১০ দিন পরে, সোমবার রাতে বাজেকদমতলা ঘাট থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিচয় জানতে না পারায় পশ্চিম বন্দর থানার তরফে প্রতিটি থানায় খবর পাঠানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৭
Share:

দীপককুমার আগারওয়াল। ফাইল ছবি।

দিন দশেক আগে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এক ঘণ্টার মধ্যে ফিরছি।’’ পুজোয় ব্যস্ত থাকায় কিছু প্রশ্ন করতে পারেননি স্ত্রী। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার ১০ দিন পরে, সোমবার রাতে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হল ওই প্রৌঢ়ের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দীপককুমার আগারওয়াল (৫০)। তিনি বেহালা থানা এলাকার রায়বাহাদুর রোডের বাসিন্দা।

Advertisement

বছর পঞ্চাশের দীপকের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও মেয়ে। ছেলে কলকাতার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া, মেয়ে দিল্লিতে পড়াশোনা করেন। জানা গিয়েছে, শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীপক। পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, গত ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দীপক। জানিয়েছিলেন, এক ঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসবেন। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক পরেও না ফেরায় তাঁকে ফোনে ধরার চেষ্টা হয়। উত্তর না মেলায় শুরু হয় খোঁজ। ওই দিন দুপুরেই বেহালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন দীপকের ছেলে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজের পাশাপাশি, দীপকের ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে। সেই অনুযায়ী তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শেষ বার ওই ব্যক্তি ছিলেন দক্ষিণেশ্বরে। যদিও সেখানে গিয়েও দীপকের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পরে তাঁর মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। বেহালা থানার তরফে সব থানায় ওই ব্যক্তির নিখোঁজ সংক্রান্ত খবর পাঠানো হয়।

ঘটনার ১০ দিন পরে, সোমবার রাতে বাজেকদমতলা ঘাট থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিচয় জানতে না পারায় পশ্চিম বন্দর থানার তরফে প্রতিটি থানায় খবর পাঠানো হয়। এর পরেই মঙ্গলবার বেহালা থানার পুলিশ দীপকের পরিবারের সদস্যদের মর্গে নিয়ে আসে। সেখানেই তাঁর দেহ শনাক্ত করেন তাঁরা। যদিও গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে মঙ্গলবারই মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্প্রতি বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয়েছিল দীপকের। তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বুধবার তাঁর বাড়িতে যাওয়া হলে দীপকের স্ত্রী-সন্তানেরা কিছু বলতে রাজি হননি। তবে মৃতের এক আত্মীয় বিষ্ণু আগারওয়াল ধার-দেনার বিষয়ে কিছুই জানতেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন এমন হল, বুঝতে পারছি না। দেনার বিষয়ে আমরা তেমন কিছুই জানতাম না।’’ সব দিক খোলা রেখেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement