জনমানসে উদাসীনতা কমছিল না। ফাইল চিত্র।
‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’। নিউ মার্কেট-সহ সমস্ত বাজারে এ বার এমন নোটিসই ঝুলবে।
রাস্তায়, বাজারে হকারেরা মাস্ক না পরলে পুলিশের জালে পড়তে হবে। একই সঙ্গে ক্রেতাদেরও মাস্ক পরতে বাধ্য করবেন বিক্রেতারা। শহরের বাজারগুলিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মঙ্গলবার পুরসভায় কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার এবং পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম।
বৈঠক শেষে ফিরহাদ বলেন, ‘‘শহরে এখন সংক্রমিত দুশোর আশপাশে। কখনও সেটা আড়াইশোর ঘরে পৌঁছচ্ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই উপসর্গহীন। করোনা নিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে। সবাইকে তাই মাস্ক পরতেই হবে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বাজারগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্দেশ দেওয়া হবে, মাস্ক ছাড়া কাউকে যেন ঢুকতে না-দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে পুরসভা কন্টেনমেন্ট জ়োন চালু করছে না বলে ফিরহাদ জানান। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট আবাসনে মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োন চালু করা গেলেও বড় আবাসনের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে।’’
অন্য দিকে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখে নড়ে বসছে লালবাজারও। মঙ্গলবার লালবাজারের নির্দেশে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় থানাগুলি। চাঁদনি চক, বড়বাজার, শ্যামবাজার, গড়িয়াহাটের মতো জনবহুল এলাকায় পথেঘাটে ও গণপরিবহণে দেখা গিয়ে মাস্কহীন নাগরিককে। এমন উদাসীন নাগরিকদের শায়েস্তা করতে মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করল লালবাজার। মাস্ক না পরার জন্য এ দিন ১১২৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। গত কয়েক দিনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রায় তিন হাজার নাগরিকের বিরুদ্ধে। বৌবাজার, বড়বাজার, গড়িয়াহাট থানা-সহ বিভিন্ন থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাজার, বাসস্ট্যান্ডে মানুষ বিধি মানছেন কি না, সেই নজরদারি চালাবে পুলিশ। এমনকি বাস এবং অটোয় যাত্রী ও চালকেরা মাস্ক পরছেন কি না, তা-ও দেখা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এত দিন মাইকে প্রচার চালিয়ে, মাস্ক বিলি করে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছিল। কিন্তু জনমানসে উদাসীনতা কমছিল না। এক পুলিশকর্তা জানান, কোভিড বিধি অমান্য করায় নতুন করে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে অনেককে। এই অভিযান চলবে। শহরের পানশালা ও রেস্তরাঁগুলিও যাতে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, তা দেখতে বিশেষ বাহিনীকে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।