চাঙড় খসছে হেরিটেজ ভবনের

সংস্কারের অভাবে ভগ্নদশা ২৩৬ নম্বর রবীন্দ্র সরণির এই বাড়ির। ১৮৩০ সালে এখানেই আদি ব্রাহ্মসমাজের সূচনা। রামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর থেকে তৎকালীন ব্রাহ্মসমাজের অনেকেরই নিয়মিত যাতায়াত ছিল সেখানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৫
Share:

জরাজীর্ণ: এমনই ভগ্নদশা আদি ব্রাহ্ম সমাজ ভবনের। মঙ্গলবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

সংস্কারের অভাবে ভগ্নদশা ২৩৬ নম্বর রবীন্দ্র সরণির এই বাড়ির। ১৮৩০ সালে এখানেই আদি ব্রাহ্মসমাজের সূচনা। রামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর থেকে তৎকালীন ব্রাহ্মসমাজের অনেকেরই নিয়মিত যাতায়াত ছিল সেখানে। শহরের বুকে তেমনই এক ‘গ্রেড ওয়ান’ হিসেবে চিহ্নিত ঐতিহ্যশালী বাড়ির সংরক্ষণে কতটা আগ্রহ পুরসভার? মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ দিবসে সে প্রশ্নই তুলে দিলেন একদল মানুষ। ওই বাড়ি-সহ কলকাতার একাধিক হেরিটেজ ভবন সংরক্ষণের জন্য এ দিন সকালে বাড়িটির সামনে থেকে এক মিছিলও করেন তাঁরা।

Advertisement

কেমন হাল বাড়িটির? এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, এখন প্রায় ভগ্নস্তূপের দশায়। তিনতলার মেঝের একটা বড় অংশ ভেঙে ফুটো হয়ে গিয়েছে। উপর থেকে ফাঁক দেখা যায়। উপরে ওঠার কাঠের সিঁড়িতে পা রাখতে ভয় হয়। এই বুঝি ভেঙে পড়ল। আর বাইরে থেকে বাড়িটির হাল দেখে আতঙ্কে থাকেন এলাকাবাসীরাও।

ভেঙেচুরে গেলেও ১৮৭ বছরের পুরনো বাড়িটির তিন তলায় এখনও উপাসনা করার আগ্রহ দেখান ব্রাহ্মসমাজেরই এক সদস্য কুমকুম বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বাড়িটির ট্রাস্টি কমিটির আহ্বায়ক তিনি। বললেন, ‘‘কয়েক বছর আগেও প্রতি রবিবার সেখানে উপাসনায় বসতেন ব্রাহ্মরা। ক্রমশ দেখলাম একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যশালী ওই বাড়িটি।’’

Advertisement

কুমকুমদেবী জানান, কলকাতার মেয়র থেকে পুর কমিশনার, বিল্ডিং দফতরের কর্তাদের কাছে একাধিকবার আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সংস্কারের জন্য আর্থিক সহায়তার কথাও বার বার জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও জবাব মেলেনি।’’ যদিও পুরসভার এক আমলা জানান, ওই বাড়িটি নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। একতলা এবং দোতলায় ভাড়াটে রয়েছে। তাই সংস্কার করার আগে সে সব ভেবে দেখাও দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement