নিজস্ব চিত্র
সকলকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে এ বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। চিঠিতে তিনি দাবি জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ১৮ বছরের বেশি বয়সি সকলকে টিকা দেওয়া দরকার। এটাই কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে সকলকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় বলে অধীরের দাবি। তাঁর মতে, এটা করতে হলে দৈনিক কমপক্ষে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন। এখনকার মতো দৈনিক ১৬ লক্ষ লোককে টিকা দিলে চলবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে অধীর লেখেন, ‘কোভিড প্রায় প্রতিটি ভারতীয় পরিবারে অভূতপূর্ব ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দুঃখজনকভাবে মোদী সরকার করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার দায়িত্ব পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছে। সত্যটি হল, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কোভিডের এই অপরাধমূলক অব্যবস্থার জন্য একমাত্র দোষী। অতিমারিতে টিকা দেওয়াই একমাত্র সুরক্ষা। মোদী সরকারের টিকা দেওয়ার কৌশল ভুল। এটি হাস্যকর ভুলের একটি বিপজ্জনক ককটেল। আমাদের সরকার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করার দায়িত্ব বাতিল করে দিয়েছে। আমাদের সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে একটি ‘ডিজিটাল বিভাজন’ তৈরি করেছে, যাতে টিকাকরণ কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে একই টিকার জন্য একাধিক মূল্য নির্ধারণে জড়িত’।
টিকা কেনা ও জোগান নিয়েও রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন অধীর। তিনি লেখেন, ‘২০২০ সালের মে মাস থেকে অন্য দেশগুলি টিকার বরাত দিতে শুরু করে। সেই সময় মোদী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল। তারা কেবলমাত্র ২০২১ সালের জানুয়ারিতে টিকার কেনার জন্য বরাত দেয়’। সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বহরমপুরের সাংসদের বক্তব্য, ‘৩১ মে পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার মাত্র ৩.১৭ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৬ লক্ষ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই গতিতে চললে আমাদের সব প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দিতে তিন বছরের বেশি সময় লাগবে। তা হলে আমরা কী ভাবে আমাদের নাগরিকদের করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচাব? এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার দরকার মোদী সরকারের’।